ওর নাম ‘আতু’
শম্পা মহান্তি (কলকাতা)

মাকে বাবা এতোটাই ভালোবাসেন যে চারিদিকে বাবা মাকে ঘিরে অবস্থান করে থাকেন। কিন্তু সন্তানের ভালোবাসার ধরণ ভীষণ আলাদা হয়। সেই ভালোবাসার আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, স্নেহের পরশ, মায়া ... প্রভৃতি যেন নাড়ীর টানের মতো গভীর। এই গভীরতার টান থেকেই, অনেক সময় মা কে হারিয়ে ফেলার মতো ভীতিও তৈরি হয়। কখন ছোট্ট শিশু তার মায়ের উপস্থিতি যদি আশেপাশে দীর্ঘ সময় ধরে না পেয়ে থাকে। তখন নানাবিধ অস্থির আচরণবিধি করতে থাকে। এই মা সন্তানের বন্ধন বিধাতার সৃষ্টি সবচেয়ে অমূল্য সম্পর্কের মধ্যে একটি অন্যতম সম্পর্ক।
এই জগতে সকল জীবের যেমন মা আছেন। তেমনি আতুরও মা আছেন। তিনি হলেন মা হংসেশ্বরী। আতু রোজ রাতে সারাক্ষণ মা এর দরজা আগলে পাহারা দেয়। সেই আপত্য স্নেহের বন্ধনের কাছে, স্বয়ং নন্দীও হয়তো কতোটা নাম্বার পাবেন মনুষ্য বিচারে সন্দেহ আছে। আতুর মাতৃ ভক্তির শক্তি অপার্থিব নৈসর্গিক।
ওর ক্যান্সার হয়ে ছিল। শরীর রুগ্ন তো হয়ে ছিলো। তার সাথে শরীরের সব লোম প্রায় লুপ্তপ্রায় হয়। কঙ্কালসার চেহারা হয়ে ছিলো ওর। চার বার কেমো থেরাপি চলেছিলো চিকিৎসাবিদ্যার মাধ্যমে।
অবশেষে মায়ের সন্তান নিজের সহ্য, ধৈর্য্য ও ভক্তির জোরে ক্যান্সারের মতো রোগকে জয় করেছে। এখন ও সুস্থ। ওর একটা বাচ্চা আছে, বেশ ফুটফুটে মনোমুগ্ধকর। কান দুটো চাপা গোলাকৃতি চোখের ধরণ। গা ভর্তি লোমশ।
সে তার নিজের মতোই প্রকৃতির কোলে বড়ো হচ্ছে।
আর আতু এখনো মায়ের মন্দিরের আশেপাশে ছোট্ট সন্তানের মতোই ঘুরে বেড়ায়। এখনো শীত লাগলে মায়ের সামনে রোদ পোহায়। রাতে মায়ের সামনেই শুয়ে থাকে। মন্দিরের কর্তৃপক্ষগণ ওর গলায় বেল্টের সাথে ছোট্ট ঘণ্টি বেঁধে দিয়েছেন। আদর করে ওর নাম রেখেছেন 'আতু'।
মা হংসেশ্বরীকে চারিদিকে ঘিরে রয়েছেন ১২ টি শিবলিঙ্গ। বাবার নাভি থেকে নির্গত পদ্মাসনে অধিষ্ঠাত্রী মা।
ভীষণ শান্তি ও নৈসর্গিক অনুভূতি যেনো বিস্তৃত হয়ে রয়েছে ওখানকার আকাশে বাতাসে। শিব কোথায় নেই সেথায়?.....শিব তো রয়েছেন সর্বজীবে সর্বক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপে!