
নবম পর্যায়ে দুয়ারে সরকার পরিদর্শনে বিডিও শেখ দিন ইসলাম
বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার :– ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের বলসিদ্ধি পঞ্চায়েত এলাকার বড়িয়া এফ পি বিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত হলো নবম পর্যায়ে “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্প। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এই ক্যাম্পে মোট ৩৭টি প্রকল্প নিয়ে আবেদনকারীদের সেবা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। আবেদনকারীদের সুবিধার্থে সুবিন্যস্ত পরিষেবা ক্যাম্পে আগতদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন করা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুততার সঙ্গে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।এই ক্যাম্পের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শেখ দিন ইসলাম উপস্থিত হন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের স্টল ঘুরে দেখেন এবং সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি ক্যাম্পের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করতে নির্দেশনা দেন।এই ক্যাম্পে এলাকার সাধারণ মানুষ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। প্রশাসনের উদ্যোগে অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তিদের লাইনে দাঁড়ানোর অসুবিধা এড়াতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। এছাড়াও এই কর্মসূচিকে সফল করতে উপস্থিত হয়ে ছিলেন সান্তনা হালদার আই সি ডি এস ব্লক সুপার ভাইজার,পঞ্চায়েত সেক্রেটারি ইন্দ্রজিৎ সাও,রেক্সোনা বিবি আশা মেম্বার ডায়মন্ড হারবার, আই সি ডি এস মেম্বার নাজিমা খাতুন,রেহেনা বিবি ও পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা সক্রিয়ভাবে কাজ করেন।এবং তাঁরা আবেদন কারীদের সহায়তা করেন ও বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। এবং এই ক্যাম্পে অঙ্গনারীর পক্ষ থেকে ৬টি পরিষেবা দেন, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, পরিপূরক পুষ্টি প্রদান,ওজন ও বৃদ্ধির তদারকী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা,সচেতনতা সভা ও প্রেরণ। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে একাধিক সরকারি পরিষেবা সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁরা জানান, দুয়ারে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তাঁদের বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়েছে। এই উদ্যোগ যে রাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তা এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট। ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য তাঁরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।