সরস্বতী পূজা

সুপর্ণা বিশ্বাস (বজবজ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা)

বিদ্যাদেবী বীণাপাণি
তুমিই মোদের সব,
তাই তোমার চরণে প্রণাম জানিয়ে
হাতেখড়ি দিয়েই
আমাদের সবার পাঠ্যজীবন শুরু হোক।

মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীর সকালে
দেবী তোমারই করি বন্দনা,
তোমার কাছেই একমাত্র সকল পড়ুয়ার
শিক্ষায় সাফল্যের প্রার্থণা।

হংস পিঠে চড়িয়া আসো এই ধরাধামে,
যতনে সাজাই তোমায় পুষ্পরাশির মালাতে।
আলপোনা দিয়ে ভরিয়ে দিই
তোমার আসন বেদি,
তোমারই আসার পথটি চেয়ে থাকে
সকল পড়ুয়া সহপাঠী।

হিমশীতল ভোরে কুয়াশার চাদরে
আবৃত ঘাসের উপর পাদুকা সঞ্চালনে
কাঁপতে কাঁপতে যেতাম স্কুলে,
সকাল থেকে উপবাস করে
পুষ্পাঞ্জলি দিতাম একসাথে বন্ধুরা সকলে।
মন্ত্রোচ্চারণে থেকে যেত
জয় জয় দেবী চরাচর সারে
কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।

হলুদ শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে
সকাল সকাল পঞ্চমিতে আলাপিকরণ।
তারপর কত কথা কত কত গল্প
কতই রঙিন আড্ডার সমাহারে হতো
ছাত্রজীবন মন মুগ্ধ।

রং বেরঙের পোষাকে স্কুল বাড়িটা থাকতো
হৈ হুল্লোড়ে ভরা,
পূজার শেষে থাকতো
প্রসাদ বিতরণের তাড়া।

পূজার শেষে পুষ্পাঞ্জলির ফুল রাখতাম টেক্সট বইয়ের মাঝে,
বইয়ের পাতার খাঁজ বরাবর ভরতো শুকনো পাতার রসে।

দুপুরের খিচুড়ি খেয়ে একসাথে সবাই ফিরতাম বাড়িতে।
কতই হুল্লোড় কতই মজা আবার অপেক্ষা গোটা একটা বছরের।।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )