৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সবুজ বিএড কলেজের সেমিনার

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সবুজ বিএড কলেজের সেমিনার

বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার:- ম্যানগ্রোভের সুরক্ষায় বিবিধ কারণে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য। যে-ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় ম্যানগ্রোভ-অরণ্য রক্ষা ও কৃত্রিম বাদাবন তৈরি করা। আর সুন্দরবনের সুন্দর জীবনকে আগলে রাখতে এদিন রায়দিঘী থানার অন্তর্গত নন্দকুমারপুরে আয়োজিত সবুজ বি এড কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সবুজ প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনিস্টিউট ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ক্লাস রুম কমিউনিটি হলে।এদিন উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ডাঃ ইর্মগার্ড হোলিলহেলম শাফের(টিচার জিমনেশিয়াম আর্ন ক্রেব্সবার্গ নিউকিরচেন জার্মানি),এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা: সোমা বাহদ্যপাঠ্যায়(ভাইস চ্যান্সেলর,বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি),অংশুমান দাস (সেক্রেটারী এন্ড ডিরেক্টর,সবুজ সংঘ মেম্বার,সুন্দরবন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গভঃ পশ্চিম বঙ্গ),অরুনাভা দাস(হেড অফ রিসোর্স মোবিলাইজেশন এন্ড সবুজ সংঘ এডমিনিস্ট্রেটর ও সবুজ বি এড কলেজ),ডাঃ অমল মুখোপাধ্যায়(ফাউন্ডার অফ এলগা বায়োটেক এন্ড প্রেসিডেন্ট,হেনসিটিক ইন্ডিয়া ফোরাম ই,ভি,জার্মানি), দিব্যেন্দু সরকার আই এ এস ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনাল(রিটার্ড সেক্রেটারি পি & আর ডি ডিপার্টমেন্ট গভঃ পশ্চিম বঙ্গ),প্রফেসর ডা: বিশ্বরঞ্জন মিস্ত্রি (ইউনিভার্সিটি অফ বর্ধমান), ডা: নবীন ঠাকুর (এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইউনিভার্সিটি কলকাতা), প্রফেসর রমাকান্ত মহালিক (ভুবনেশ্বর),সুজয় চৌধুরী কো ফাউন্ডার (সি এস এস) সহ কয়েকশ প্রাইমারি টিচার ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ। এই সেমিনার শুভ সূচনা হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি,এর সমাপ্তি হবে ২৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫। এদিন অংশুমান দাস ও অরুণাভা দাস তারা বলেন ম্যানগ্রোভের সুরক্ষায়

বিবিধ কারণে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য। যে-ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় ম্যানগ্রোভ-অরণ্য রক্ষা ও কৃত্রিম বাদাবন তৈরি করা। সুন্দরবনের সুন্দর জীবনকে আগলে রাখতে হবে আমাদেরই। তাই সুন্দরবনকে  বাঁচিয়ে রাখতে এই সবুজ সংঘের ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক লক্ষ ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে। এছাড়া সবুজ সংঘ ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন কয়েক শত প্রাইমারি টিচার দেরকে সঙ্গে নিয়ে এক ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। সূত্রে আরো জানা যায় সুন্দরবনের নাম করলে অনেকের কাছেপিঠে দু-এক রাত্তির জল ও অরণ্যের কোলে কাটিয়ে আসার বাসনা তীব্র হয়। এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যময় সুন্দরবন প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ। এখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণী-সম্পদ বৈচিত্র্যময়। এখানেই গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বা গ্যাঞ্জেটিক ডেল্টা। সুন্দরবনে প্রায় ৬৫ ভাগ বনাঞ্চল ও এক ভাগ জল। জোয়ারের সময় অনেক দ্বীপকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। আবার ভাটার টানে জল সরে গেলে দ্বীপগুলো জেগে ওঠে। সাগরের নোনা জলে নদীনালা,খাঁড়ি,অরণ্যের অনেকাংশ সারাদিনের অনেকটা সময়ই জলমগ্ন থাকে,তাই সুন্দরবনের পরিবেশ লবণাক্ত। এমন লবণাক্ত পরিবেশেও স্বল্প অক্সিজেন-যুক্ত মাটিতে বেঁচে থাকার জন্য সুন্দরবনের বৃক্ষরাজি নিজেদের নানাভাবে নানারূপে অভিযোজিত করে এক অভিনব অরণ্যের সৃষ্টি করেছে। সমষ্টিগতভাবে এদের বলা হয় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট (Mangrove-forest) বা লিটরাল বা টাইডাল ফরেস্ট। বাংলায় বাদাবন বা লবণাক্ত জলাভূমির অরণ্য অথবা লবণাম্বু অরণ্য।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )