
দেশের সম্মান রক্ষার্থে রাজ্যপাল ও সরকারের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িকভাবে বন্ধের আবেদন হিন্দুমহাসভার
সংবাদদাতা: কলকাতা:- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তাল, তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজক পরিস্থিতি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল হিন্দুমহাসভা । বিগত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে হিন্দুমহাসভার প্রার্থী এবং রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই যাদবপুরে ইউনিয়ন, ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের একটি অংশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশদ্রোহিতা এবং গুন্ডামির আঁতুড় ঘরে পরিণত করেছে । নিজেদের মৌরুসিপাট্টা কায়েম করার জন্য এরা ক্যাম্পাসে কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার জন্য আন্দোলন করে, গীতা এবং হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতীক পোড়ায় বা নিরীহ সপ্নদীপ কুণ্ডুদের নৃশংস ভাবে খুন করে । এদের দ্বিচারিতা এমন পর্যায়ে যে এরা ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করে কিন্ত সরস্বতী পূজায় বাধা দেয়, “বুদ্ধইন এ ট্রাফিকজ্যাম” সিনেমা চালাতে গেলে আয়োজকদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে, র্যাগিংয়ের নামে ছাত্রছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে বা খুন করে, বিপরীত মতাদর্শের মানুষদের ঘিরেধরে নাশকতা চালায় । চন্দ্রচূড় বাবুর আরো বক্তব্য ছাত্র নির্বাচন অবশ্যই ছাত্র রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু মাওবাদী গুণ্ডারা শকুনের মত মৃতদেহ খুঁজে লাশের রাজনীতি করতে চায় তাই এখানে অবশ্যই পুলিশ মোতায়েন করে বা প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী নামিয়ে নির্বাচন করা উচিত । তবে বেশ কিছু বছর ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে দেশবিরোধী মাওবাদী সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে দেশের সম্মান রক্ষার্থে অবিলম্বে কিছু বছরের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত । আগামী দিনে রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে দেশের লজ্জা হয়ে ওঠা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িক ভাবে বন্ধ করার জন্য এবং অভিভাবকদের কাছে ছেলে মেয়েদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে না ভর্তি করার জন্য আবেদন করতে চলেছে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা ।