চপ বিক্রি করে সাফল্য অর্জন দীনেশ সরকারের

চপ বিক্রি করে সাফল্য অর্জন দীনেশ সরকারের

জয়দীপ মৈত্র: দক্ষিণ দিনাজপুর:-এক সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন চপ শিল্প করে অনায়াসে পাড়ি দেওয়া যায় সংসার,সেই কথা মাথায় রেখে  দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনেশ সরকার।

বালুরঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর চপ শিল্পে বাজিমাত! তেলেভাজা বিক্রিতে সচ্ছল জীবন দীনেশের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বলেছিলেন, চপ বিক্রি করেও জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে সেই চপ বিক্রি করেই যে সাফল্য পাওয়া যায়, তা প্রমাণ করে দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের দীনেশ সরকার। বালুরঘাট পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড যেনো এক দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে দারালো।

বালুরঘাট পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনেশ সরকার পেশায় তেলেভাজা বিক্রেতা। মাত্র তিন বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকেও দীনেশবাবু আজ পরিচিত মুখ। বিকেলের পর থেকেই তার দোকানে উপচে পড়ে ভিড়। ঝুড়িভর্তি গরম গরম চপ, পেঁয়াজি, বেগুনি নেওয়ার জন্য লাইন দেন ক্রেতারা। দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ আসেন তার দোকানে একবার স্বাদ নেওয়ার জন্য।

দীনেশবাবুর এই তেলেভাজার ব্যবসা শুধু তার পরিচিতি বাড়িয়েছে তা নয়, তার পরিবারের আর্থিক অবস্থাও বদলে দিয়েছে। চপ বিক্রির আয়েই তিনি সংসার চালান, পরিবারের সাতজনের দায়িত্ব সামলান। স্থানীয়দের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর চপ শিল্পের ধারণা যে বাস্তবে সফল, তা দীনেশবাবুর গল্পই প্রমাণ করে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত জানান, “চপ বিক্রির মাধ্যমেও যে কেউ সফল হতে পারেন, তার উদাহরণ দীনেশ সরকার। তার ব্যবসা ভালো চলছে, মানুষও খুশি। বালুরঘাট পৌরসভা সর্বদা তার পাশে রয়েছে” যদিও বিরোধীরা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর চপ শিল্প মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে, তবে দীনেশবাবুর সাফল্য সেই সমালোচনার জবাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ছোট ব্যবসাকে গুরুত্ব দিলে যে সাফল্য সম্ভব, দীনেশ সরকারের গল্প সেটাই বলে। 

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )