অনুভূতি
সঙ্গীতা মুখার্জী মণ্ডল (খাঁটপুকুর, পশ্চিম বর্ধমান)

মাটি ছুঁয়ে হাঁটলে , পড়ে যাওয়ার ভয় কম
আকাশ দেখতে ভালো
মাটি যে মা তাই আগলে রাখার ক্ষমতায় সেরা
পাখিদের গায়ে পালকের আড়ালে স্নেহ লেগে থাকে
যেভাবে মন ভরে থাকে ভালোবাসায়
আমরা সবসময় জল রচনা লিখি
কিন্তু ভালোবাসা দিতে কৃপণতা করি।
মাটি ,মানুষ ,মা তিনটি শব্দ যোগ করে আমাকে রাজনীতির কোনো দল ভুক্ত করলে আমার হাসি পেয়ে যায়।
আমি তো বহু আগে থেকেই এদের সাথে পরিচিত,
ঠিক যেমন নতুন করে কোনো রাম পড়িনি
রামায়ণ পড়ে শোনাতেন ঠাকুমা সেই কোন ছোট্ট বেলায় তার সম্পর্কে জেনেছি
এখন আমি হাওয়া দেখি কেমন রঙ দিয়ে ঢাকা তার শব্দ
কখনও চোখ বন্ধ করে নদীর পাশে বসে থাকি
সে আমাকে স্নিগ্ধতা প্রদান করে
আমি নিতে থাকি নিতেই থাকি
তবুও ওরা কেউ এর বদল চায় না
ওরা নিঃস্বার্থ প্রেমের ডালি সাজিয়ে আমাকে আপন করে নেয়
কখনও পলাশ বলে আচ্ছা এই সারা বছর আমি অবহেলা যাপন করি
তারপর হঠাৎ এতো যত্ন পেয়ে নিজেকে কেমন দামী মনে হয়
আমি সেদিন পলাশ দেখে তাদের প্রেমে পড়ি এবং দু হাত দিয়ে জাপটে ধরি বুকে
ওরা খিলখিল হেসে উঠে, ওদের হাসির শব্দে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে যায়
ওরাও জানে যত্ন আদর বুনে দিতে,ওরাও বুঝি আমারই মতন কাঙাল।
আমি ওদের ঈশ্বর হতে দেখি , ওরা স্বপ্ন সাজিয়ে দেয় এক এক করে
আবারো চিথি লেখে হওয়ার বুকে, ওদের মাথা নেই কিন্তু ওদের মন আছে সেই কোন প্রাচীন কাল থেকেই।
দিব্যি বেঁচে থাকি মাথা ছাড়াই।
আমাদের যে কেনো এতো মাথার প্রয়োজন হয় বুঝি না বাপু।
ইচ্ছে করে মাথা ছাড়া মন দিয়ে পৃথিবী সাজিয়ে পলাশ উৎসব করি।
মাথার খেলায় তুমি ভীষণ মজবুত আমি তো মন দিয়ে ঘর করি।
তাই বুঝি আমার সংসার আমার ঘরের থেকে ছোটো হয়ে যায়।