রেল আবাসন থেকে রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, সুরক্ষা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

রেল আবাসন থেকে রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, সুরক্ষা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

কৌশিক মুখার্জী: চিত্তরঞ্জন:-

সন্ধ্যার আঁধার নামতেই চিত্তরঞ্জন রেল শহরে রক্তাক্ত হয়ে উঠল একটি কোয়ার্টার্স।২৮ নম্বর রাস্তার ৪৬/২ডি বাসভবনে সঞ্চিতা চৌধুরী (৫৬) নামে এক গৃহবধূর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। স্বামী প্রদীপ চৌধুরী ডিউটিতে থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে শুধু প্রাণই কেড়ে নেয়নি, লুট করেছে গয়না, উল্টে দিয়েছে আলমারি। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হল, এই সব ঘটেছে পুলিশ আর আরপিএফের নাকের ডগায় যাঁরা নাকি এই শহরের ‘নিরাপত্তার প্রহরী’!
ঘটনার সূত্রপাত সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। সঞ্চিতার ছেলে দেবদত্ত মাকে ফোনে না পেয়ে বাবা প্রদীপকে খবর দেন। রাত আটটায় ডিউটি থেকে ফিরে প্রদীপ বাবু দেখেন, দরজা খোলা, ঘরের ভেতর তছনছ। বারান্দার দিকে রক্তাক্ত দেহে পড়ে আছেন স্ত্রী। বিছানায়, মেঝেতে, দেওয়ালে রক্তের দাগ। গয়নার বাক্স ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, আলমারি হাট করে খোলা। পুলিশ বলছে, ধারালো অস্ত্রে আঘাত করা হয়েছে। ঘরের অবস্থা দেখে স্পষ্ট, মৃত্যুর আগে সঞ্চিতা শেষবারের মতো লড়াই করেছিলেন। কিন্তু কোথায় ছিল সেই নিরাপত্তা, যার ওপর ভরসা করে এই শহর বাস করে?
চিত্তরঞ্জন পুলিশ আর আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এই ‘সুরক্ষিত’ রেল কলোনিতে এমন কাণ্ড যেন তাদের দক্ষতার গালে সপাটে চড়। এত জওয়ান, এত চোখ, তবু দুষ্কৃতীরা ঢুকল কীভাবে? লুট করল, খুন করল, আর নির্বিঘ্নে পালাল? বাসিন্দাদের মুখে একটাই কথা—‘এই নিরাপত্তা যদি আমাদের রক্ষা না করে, তবে এর মানে কী?’ প্রদীপবাবু, যিনি ‘পুচা’ নামে পরিচিত, একসময় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দক্ষ ঘোষক হিসেবে এলাকায় তাঁর খ্যাতি। তাঁর সংসারে এমন নির্মম ঘটনা শুধু শোক নয়, ক্ষোভও জাগিয়েছে।
এই খুন কি শুধুই একটি লুটের পরিণতি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র? পুলিশ আর আরপিএফের তৎপরতা কি শুধুই ছবি তোলা আর ফাইল বানানোর জন্য? চিত্তরঞ্জনের রক্তরেখা এখন শুধু প্রশ্নই তুলছে উত্তর কবে মিলবে, নাকি এটাও থেকে যাবে ধোঁয়াশার মধ্যে?তবে এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তি নেপাল চক্রবর্তী জানান চিত্তরঞ্জন শহর সুরক্ষায় মোড়া তা সত্বেও এই ঘটনা।তিনি আরো বলেন এই ঘটনার পর এক একটি মানুষ ভয়ভীতি।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )