নীল রক্তের সুরা
মমতা শঙ্কর সিনহা পালধী (নিউ ব্যারাকপুর, উত্তর চব্বিশ পরগণা)

নীল রক্ত বইছে নীললোহিত তোমার ধমনীর চোরা প্রকোষ্ঠে,,,,
বাতাসে আতরের ঘ্রাণ—-
তোমার ঠোঁটে আমার শেষ নিঃশ্বাসের রক্তাত্ব চুম্বন,,,
কস্তুরী মৃগনাভীর ন্যায় সুবাসিত দীপ্তি আমার—
তোমার দুই তৃষ্ণিত চোখের নীল প্রেমবারি বর্ষণে হয়েছে নিহত।।।
পৃথিবীর অপার নিঃস্তব্ধতা আজও দিনগোনে–নীললোহিত তোমার ফেরারী ভালোবাসার অপেক্ষায়,,,
সভ্যতার একদম শেষ প্রান্তে আমাদের হয় তো বা আবার দেখা হবে—নীললোহিত—– তখন চিন্তে পারবে তো আমায়????
না কি অপরিচিত ভেবে মুখ ফেরাবে ডুব দিয়ে নীল সুরার গরল পেয়ালায়!!!!
সদ্য ঘুমভেঙে যাওয়া পাতাল পুরীর রাজকন্যার মত স্বপ্নের ঘোরে জানালার ফাঁক দিয়ে উদাস নয়নে দেখবো
তোমায়—-
নীললোহিত—তুমি হারিয়ে যাচ্ছো মিথ্যা আর উপঢৌকণের চতুর পাশাখেলায়।।।।
আরশির দিকে অপলক চোখে চেয়ে স্বপ্নের মায়ারাজ্যে দেখি—-শরতের মেঘ এলোমেলো আকাশের বুকে উড়ে বেড়ায়।।।
স্খলিত আঁচলে বারাঙ্গনা ক্ষুধার্ত পরিবারের উদর পুর্তির চাহিদায় রাতের আঁধারে শীত,গ্রীষ্ম বর্ষা উপেক্ষা করে নীল নেশায় মত্ত মায়া নগরীর মায়ালোকের নীচে দাঁড়ায়,,,,
জানো—নীললোহিত তাদের আঙিনার মাটি দেবী মূর্তির প্রতিটি কণায় ব্যবহৃত হয়।।।
তবুও তারা অসম্মানিত তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের রঙ্গমঞ্চে হায়!!!
নীললোহিত যারা ইচ্ছে করে উৎকট বৈভবের বিলাসিতায়—কিংবা যারা নিজেদের আধুনিকা—বলে সেচ্ছায় ফ্যাশানের নামে শাড়ির আঁচলকে স্খলিত করে—-
বেআব্রু করে নিজেদের সম্ভ্রম—
সেটা সভ্যতার নগ্নতার পরিচয় কি নয়????
নীললোহিত—-ফিরে এসো—ফিরে এসো নীললোহিত—-জীবনের ভালোবাসার আঙিনায়।।।।
সম্পর্কের অপর নাম জীবন— জীবনকে শেষবারের মত উপভোগ করার জন্য কোন চাতুরী,কোন পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত হয়ে আত্মবিস্মৃত হয়ে নয়—-ফিরে এসো নীললোহিত,,,,
নীললোহিত আমি যে শেষবারের মত তোমার ধমনীর নীল রক্তের সুরা সাগরে ডুব দিতে চাই—-