
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়
বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার:- দেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরাধীন দেশের মাটিতে ১৯২৫ সালে যে পথচলা শুরু করেছিল সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি ১০০ তম বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। ‘এসো মিলি প্রাণের টানে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার কুলপি থানার অন্তর্গত রাম কিশোর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী উৎসব শুক্রবার (২৫,২৬,২৭ এপ্রিল) ২০২৫ সকালে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্ণাঠ্য শোভাযাত্রা সহকারে পরিক্রমন,অতিথি আপ্যায়ন,প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও একশত বেলুন ওড়ানোর মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন এবং উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক ও শতবর্ষ উৎযাপন কমিটির সভাপতি সমরেশ মন্ডল,এবং এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিতা কাঞ্জি। প্রথম দিনের শুরুতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা পশ্চিম বঙ্গ ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুন্দরবন বিষয়ক, পশ্চিম বঙ্গ ,দিলীপ মন্ডল রাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিম বঙ্গ সরকার পরিবহন দপ্তর,বাপি হালদার সাংসদ মথুরাপুর লোকসভা, যোগরঞ্জন হালদার বিধায়ক কুলপি,অজয় সেনগুপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর অফ ল্যান্ড রেকর্ড এন্ড মার্ভে ,সহেলি দাস অবর বিদ্যালয় পরিদর্শন কুল্পী তিন নম্বর চক্র,ডা: আকবর হোসেন মেডিকেল অফিসার পঞ্চগ্রাম,সমাজসেবী হাতেম আলী শেখ,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারা বলেন, মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই। সফলতার জন্য মেধার সমন্বয় ও পরিশ্রমই সব। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার চেয়ে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর নেই। প্রধান শিক্ষক সমরেশ মন্ডল তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সেজন্য তাদের প্রচুর অধ্যয়ন করতে হবে। দেরীয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের উচ্চ বিদ্যালয় অনেক গুণী শিক্ষার্থীর জন্ম দিয়েছে, যারা আজ সারারাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে আলোচনা সভা ও প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপস্থিত গুণীজন রা। শেষ দিনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব, প্রাক্তনীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান এর মধ্যে দেরিয়া হাই স্কুলের এই শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সমাপ্তি ঘটবে।