
পশ্চিম বঙ্গে তৃণমূল মানেই অত্যাচার, দুষ্কৃতির দ্বিতীয় নাম, কৃষ্ণ নগরের সভা থেকে কটাক্ষ মোদির
গোপাল বিশ্বাস:-নদীয়া-
দু দিনের বঙ্গ সফরের রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি প্রথমে হুগলির আরামবাগে দলীয় সভা করেন ও রাতে কোলকাতা রাজভবনে আসেন ও রাজ্য পাল সহ মূখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথেও সাক্ষাত করেন। আর শনিবার দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে তিনি আসেন নদীয়ার কৃষ্ণ নগরে।
সেখানে প্রথমে প্রশাসনিক কাজ সেরে কৃষ্ণ নগরের গভঃকলেজ ময়দানে দলীয় সভায় যোগ দেন।
আর এদিন মোদির সভাকে ঘিরে নদীয়ার কৃষ্ণ নগরে ছিলো প্রশাসনের কড়া নজরদারি। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারে হাজারে কর্মী সমর্থকেরা মোদিজীর সভায় যোগ দিতে আসতে শুরু করে।
এ দিন কৃষ্ণনগর গভঃ কলেজের মাঠে প্রথমে অল্প সময়ের জন্য প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি।
এরপরই সেখান থেকে জনসভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ শুরু করেন।
মঞ্চে উঠা মাত্রই গোটা মাঠ চত্বরে মোদির স্লোগানে মেতে ওঠে।
শুক্রবারে আরামবাগের মতোই কৃষ্ণ নগরের সভাতেও প্রথমে সকলকে বাংলায় প্রনাম জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করলপন নরেন্দ্র মোদী।
সেখানেই তিনি একাধারে যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলপ ধরেন পাশাপাশি এ রাজ্যে তার কার্যকারিতা, ও তৃণমূলের বিরুদ্ধেও কড়া সুড় চরাতে থাকেন।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকার ৪০০ সিট অতিক্রম করবে।
তিনি বলেন গোটা দেশজুড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে।
এ রাজ্যেও বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে পেট্রোলিয়াম প্রজেক্ট গুলি আরো মজবুত হবে।
রাজ্যে চাকরি এবং রোজগার বাড়ার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও আরব বিকাশ ঘটবে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এ রাজ্যে কেন্দ্রের সব প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেনা, কারন এখানে তৃণমূল সরকার আছে!
এখানকার তৃণমূল মানেই অত্যাচার এবং দুষ্কৃতির দ্বিতীয় নাম। তৃণমূল মানেই বিশ্বাসঘাতকতা।
তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী গ্যারান্টি দিয়েছিল কল্যাণীতে এম হাসপাতাল তৈরি করা হবে, সেখানে তা তৈরি হয়েছে।
তাতেও এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পছন্দ হয়নি। বিজেপি সরকার আয়ুষ্মান প্রকল্পে পাঁচ লাখ করে ফ্রি তে টাকা দেওয়ার সুবিধা করেছে।
কিন্তু এরা যে টিএমসি সরকার সেটা লাগু হতে দিচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর রাজ্যের পাট চাষীদের কথা মাথায় রেখে এবং যে সমস্ত জুট মিল রয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে আরো অনেক টাকা বরাদ্দ করা হবে।
তিনি রাজ্যর কৃষকদের জন্য বলেন প্রায় তিন লক্ষ কৃষক পিএম কৃষানের লাভ নিয়েছে।
এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে মা -মাটি – মানুষের কথা বলে ভোট নিয়েছে, আজ সেই মা মাটি মানুষ সবাই টিএমসির কু শাসনে ভুগছে।
তিনি অন্যদিকে সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন
সন্দেশখালীর মহিলারা নিপিড়ীত, অত্যাচারিত হচ্ছে কিন্তু রাজ্য সরকার চুপ রয়েছে। মা বোনদের আওয়াজ শুনতে পারছে না।
যখন সেখানকার মায়েরা দূর্গা হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে তখন রাজ্য সরকার মাথা নত করেছে।
তৃণমূলপর আমলে এ রাজ্যে এখন দুষ্কৃতিরাই শেষ কথা বলে।
পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী পাঁচ বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা এই রাজ্যে বরাদ্দ করা হবে।
এদিনের নরেন্দ্র মোদী ভাষনে আগামী লোকসভা নির্বাচনে চারশো সিটের লক্ষ মাত্রাও স্থির করে দেন কর্মীদের উদ্দেশ্যে।
পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের আগে নদীয়ায় নরেন্দ্র মোদীর এ হেন জনসভার আয়োজন, নির্বাচনে যে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি যোগাবে তা বলাই বাহুল্য।