আমার অভাবী মা
সমীর পণ্ডিত (কলকাতা)

যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলি !
যেখানে নিজের মাটির ঘর খরের ছাউনি শান্তি এনে দিত।
বর্ষায় টুপটাপ বৃষ্টির ফোঁটা অগোছালো খরের ছাউনি ভেদ করে গায়ে লাগতো।
ঘুম ভেঙে যেত….
কষ্ট হতো…অগাধ,
গভীর রাতে ঘুমন্ত সন্তানের শরীর ভিজে যাওয়া দেখে মায়ের চোখে জল খুঁজে পেতাম।
মা বলতো… “বড়ো হয়ে পাকা বাড়ি করবি…
ঝকঝকে মেঝেতে বসে ভাত খাবো”
এখন সরে এসে ঘুমিয়েযা”।
সর্দির প্রকোপ বোধহয় তখন থেকেই।
মায়ের বলা কথা সত্যি হয়েছে…।
তবে…সময় বয়ে গেছে ;
সে অনেক দিন হলো……….
মা নেই।
হ্যাঁ অভাব নিয়ে মরেছে।
কর্কট রোগ হলে মানুষ বাঁচেনা।
মা নেই ; ঘর নেই…।
আজ আবার সেই মাটির মেঝে ,ভাঙ্গা ঘর , আর অগোছালো খরের ছাউনি ভেদ করে ভিজতে ইচ্ছে করে গভীর রাতে।
বুকের কাছে টেনে নিয়ে ছিন্ন আঁচল ঢাকা দিয়ে মা যেনো বলুক……।
মা ছাড়া কেউ আপন নয়!
দেখ ,…. বৃষ্টি থেমে গেছে ঘুমিয়ে পড়।
শেষ চৈত্রের বৃষ্টি বড়ই নিঠুর…….
একটা কালো গভীর রাত বড্ড বেদনাময় ;
আজকাল ঘুমোলে মনে হয় ….
আমি আর পাশে আমার অভাবী মা!!!