
কাপিষ্ঠা গ্রামে নৃশংস হত্যা: দম্পতির আত্মসমর্পণ, পুলিশ তদন্তে তৎপর
কৌশিক মুখার্জী: বারাবনি:- বারাবনি থানার অন্তর্গত জামগ্রাম পঞ্চায়েতের কাপিষ্ঠা গ্রামে এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এক দম্পতি, মন্টু দাস ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী দাস, স্থানীয় বাসিন্দা বাপি রুইদাসকে কুড়ুল দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে মঙ্গলবার রাতে বারাবনি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে মন্টু দাস ও লক্ষ্মী দাস বারাবনি থানায় উপস্থিত হয়ে বাপি রুইদাসকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তৎক্ষণাৎ মন্টুর বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে বাপি রুইদাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর বুধবার বাপির মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বাপির মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, যা তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ুলটি পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত দম্পতির বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মন্টু ও লক্ষ্মী পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বাপি রুইদাসের পরিবার জানিয়েছে, বাপি দিনমজুরির কাজ করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে কারও ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। দুপুর ২টোর পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রাতে পুলিশের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবার ভেঙে পড়েছে। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এবং এই নৃশংস ঘটনার কারণ জানতে চান।পুলিশ এখনও হত্যার প্রকৃত কারণ ও পটভূমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। বাপি রুইদাস কেন মন্টু দাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির হত্যা সংক্রান্ত ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনাস্থলের অন্যান্য সাক্ষ্য সংগ্রহ করে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।এই ঘটনায় কাপিষ্ঠা গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে হতবাক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনের রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ তৎপর। তদন্তের অগ্রগতির দিকে গোটা এলাকার নজর রয়েছে।