সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শিক্ষা চিত্তরঞ্জনে
কৌশিক মুখার্জী: চিত্তরঞ্জন:-
আজ চিত্তরঞ্জনে সিভিল ডিফেন্সের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধকালীন বা জরুরি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা। দেশবন্ধু বালক ও বালিকা বিদ্যালয় এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আয়োজিত এই মহড়ায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে বিপদ সংকেত এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সাইরেনের ব্যবহার ব্যাখ্যা করা হয়। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা হাতে-কলমে প্রদর্শন করেন কীভাবে এই সাইরেনগুলি শুনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হয়। ইন্সপেক্টর এম কে সিংহ জানান, “আমাদের উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবন রক্ষা করা, সম্পত্তির ক্ষতি কমানো এবং শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখা। জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ জানা থাকলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।”
মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদের শেখানো হয় কীভাবে বিমান হামলা বা অন্যান্য আক্রমণের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখতে হয়। উঁচু ভবনের নিচতলায় আশ্রয় নেওয়া, খোলা জায়গায় থাকলে মাটিতে শুয়ে মুখ ও কানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, এবং বিপদ সাইরেন বাজলে আলো নিভিয়ে পরিবেশ অন্ধকার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া, জরুরি পরিস্থিতির জন্য হাতের কাছে টর্চ, মোবাইল চার্জার, পানি এবং শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আরও জোর দিয়ে বলেন, আতঙ্ক ছড়ানো বা গুজব প্রচার না করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ছাত্র-ছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয় এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা বিধিগুলি শিখে নেয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর এম কে সিংহ, শুভেন্দু বিশ্বাস, ভূপেন্দ্র সিংহ, নারায়ণ সাউ, রাকেশ পান্ডে, শরৎচন্দ্র মাহাতো, রাজেশ কুমার সিংহ, রবি মন্ডল, সুভাষ প্রসাদ, রমাকান্ত মন্ডল, অজয় রাম, জে এন শর্মা এবং আর কে প্রসাদ।
এই ধরনের উদ্যোগ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিভিল ডিফেন্সের এই প্রচেষ্টা চিত্তরঞ্জনবাসীকে জরুরি পরিস্থিতির জন্য আরও প্রস্তুত করেছে।
