বাঁচাও জীবনামৃতের বীজতলা

রাজা চৌধুরী (হরিপুর, পশ্চিম বর্ধমান)

বন্ধ করো প্রকৃতির সাথে শতরঞ্চ খেলা
লোক দেখানো গাছ লাগিয়ো না সভ্যতার মাথায়,
শিকড়ে জল ঢালো প্রাণে বাঁচলেও বাঁচতে পারে
পরিচর্যার অভাবে মানবতা নামক বৃক্ষটি যে আধমরা!
জ্বালা পোড়া আর কাটা এর প্রকোপে পৃথ্বীর বৃত্তে আজকাল গাছেরাও নির্ভয়ে শ্বাস নেয় না।
কাছে যাও জ্বড়িয়ে ধরো,কানপেতে শোনো শুকনো পাতার হাহাকার, কী নিদারুন টিকে থাকার আকুতি।
কুঁকড়ে থাকে,না জানি কখন বসবে পাশবিক কুঠার!
পায় না মাটি বিশুদ্ধ জল আর একটু অমায়িক ব্যবহার!
সজীবতা হারিয়ে মরতে বসেছে বনায়নের পর বনায়ন।

আর যে কটা রেখেছো,বা নতুন করে জাগিয়েছো, তা সম্পূর্ণ নিজেদের তাগিদে — খরচের খাতায় !!
ঝুল বারান্দায় আসবে হাওয়া,ডগির ঘরে পড়বে ছাওয়া!প্রয়োজনে পরিসর বাড়ানোর জন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে করেছো ন্যাড়া কখনোবা বুকে পেরেক ঠুকে টাঙিয়ে দিয়েছো নিতিকথার সাইনবোর্ড বা সময় নির্ধারণ করে বুক চিরে ঝুলিয়ে দিয়েছো মৃত্যুর পরোয়ানা!

মুখে বুলি আওড়াও একটি সবুজ একটি প্রাণ!!
অথচ হিংস্রতার কুঠার দিয়ে ফেড়ে চলো সবুজের বুক।
সভ্যতার গুলি-বারুদে ক্ষতবিক্ষত বিশ্বমাতা
অথচ আজ মায়াকান্নায় ভাসাও গণ্ডদেশ!
একদিকে শান্তির সাদা পায়রা ওড়াও
আর একদিকে রাক্ষসী চিলের মতো
ছোবল মারো অসহায় বনানীর মূলে!

এখনও পূর্ণআঁধার নামেনি অন্তর্দৃষ্টি ফেলে দেখো..
কী শান্ত শীতল বর্ণময় ভোরের আলোয় নরমকোমল চেহারা নিয়ে উঠে আসা সবুজ পল্লবের মায়াময় মুখ।
জ্বালিয়ে দিওনা সবুজের অঞ্চল,
টিকে থাকতে দাও জীবনামৃতের বীজতলা।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )