
মনসামঙ্গল কাহিনী অনুসারে বিশ্বের সর্বপ্রথম মনসা মন্দিরের খোঁজ
রক্তিম সিদ্ধান্ত, মুর্শিদাবাদ :- জানেন কোথায় চাঁদ সওদাগর প্রথম মনসা পূজো করেছিলেন? খোঁজ মিললো মনসামঙ্গল কাহিনী অনুসারে বিশ্বের সর্বপ্রথম মনসা মন্দিরের…
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের অদূরে কানা মৌরাক্ষী নদীর উপরে তেতুল গাছের নিচে শতাব্দি প্রাচীন মনসা মন্দিরকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানান ইতিহাস, মান্যতা রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে চাঁদ সদাগর প্রথমবারের মতো যেই এলাকায় মনসা পূজা করেছিল এলাকাই হচ্ছে মুর্শিদাবাদের কান্দির পার্বতীপুরের এই মনসা মন্দির। এলাকাবাসীদের কথাই চাঁদ সওদাগর একদিন তার নৌকা নিয়ে কানা ময়ুরাক্ষী নদীর উপর যাচ্ছিল তখনই তার নৌকা খারাপ হয়ে যায় এবং চাঁদ সদাগর পার্বতীপুর এলাকার কানা মুরাক্ষী নদীর পাশে একটি তেঁতুল গাছে তার নৌকো বেঁধে প্রথমবারের মতো বিষহরি দেবী মা মনসার পুজো প্রচলন করেন এই ধরাধামে, চাঁদ সওদাগর পরমেশ্বর দেবাদিদেব মহাদেবের ভক্ত হওয়ার কারণে নিজের ডানহাতে দেবীর পুজো না করে পদ্মাবতী দেবীর পুজো তিনি তার বাম হাতে করেছিলেন। তখন থেকে আজ অব্দি বিষহরি দেবী মা মনসার পুজো হয়ে আসছে কান্দির পার্বতীপুর এলাকার কানা মৌরাক্ষী নদীর তেতুল গাছের নিচে, বর্তমানে ওই মন্দিরের রক্ষাণাবেক্ষণএর দায়িত্ব রয়েছে কান্দির জেমো রাজ পরিবার তবে ওই যে কথায় রয়েছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর তাই আজও মনসামঙ্গল কাহিনীর সঙ্গে এই মন্দিরের কোন যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই নিয়ে সংশয় থাকলেও, ভক্তরা নিজের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবার উদ্দেশ্যে তাদের বিশ্বাসের টানে ছুটে আসেন এই মন্দিরে। প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসে চলে বিশেষ উৎসব এবং এলাকায় বসে মেলা, এই মন্দিরের পূজো দিতে আসা ভক্তরা জানান তারা মায়ের কাছে যা মানত করেন সেটি পূর্ণ হয় দেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত, পুরোহিত বলেন প্রতিদিন শত শত ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে প্রত্যেকে তাদের মনবানছা পূরণের জন্য পুজো দেন এবং দেবীর আরাধনা করেন। পুরোহিত আরো জানান এই মন্দিরে ভোগ প্রসাদ নিবেদনেরও রীতি রয়েছে এবং বলিদানেরো রীতি রয়েছে। চাঁদ সদাগরের এই মন্দিরে ভক্তরা প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন বিষহরি দেবী পদ্মাবতী মা মনসার আরাধনার জন্য।