স্মৃতির ধারাপাত
শুক্লা সরকার (বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ)

দিগন্তজুড়ে সুবর্ণরেখা শয়ন করছে দূরে
সময়ের নক্ষত্ররা জ্বলছে আর নিভছে।
আমার স্মৃতিরেখা মুহূর্তের মধ্যে হাঁটছে,
কথা বলছে, হাসছে, কখনও বা কাঁদছে,
মনে করিয়ে দিচ্ছে শৈশব থেকে কৈশোর,
যৌবন থেকে বৃদ্ধাবস্থা সবটুকু ভালোবাসা
মায়া, মমতা, হাসি, কান্না দিয়েই বানানো।
মেঘের পরে মেঘ করেছে,বৃষ্টি নামে নামে,
দূরে কোথাও, মন্দিরে, ঘণ্টাধ্বনি বাজছে।
এবার বৃষ্টি এলো,সন্ধ্যার ঝুপঝুপি আঁধার,
মনটা যে এত খারাপ করছে কেন জানিনা,
বুকের ভেতর এত কান্না আছে বুঝিনি তো!
সবটুকু ভালোবাসা দিনের আলো নিয়েছে,
রাত্রিটা চিরকালই দুঃখের আঁধারেই রইলো।
পথ ঘাট জন শূন্য হয়ে গেছে,নিস্তব্ধতা শুধু,
ঐ বুঝি কে ডাকলো,মা আলো নিভে গেল?
ঝোড়ো হাওয়ার বেগে শনশন আওয়াজ হয়।
ছোটো খোকাখুকি ভয় পেয়ে কেঁদে উঠেছে।
লোডশেডিং হয়ে গেল, ঝপাং করে নিমেষে,
গুপ্তচর হাওয়া লুকিয়ে ছিল মেঘের দলেই
কেউ কি জানতো,বৃষ্টির বুকেও কান্না আছে!
ঝরছে কান্না একসুরে,মনের একই বেদনায়।
মেধাবী যন্ত্রনা শুধু তিল তিল করেই কষ্ট দেয়,
গাছের পাতার পলক না পড়া,সন্ধ্যার স্মৃতি।।