নাভিকুন্ড
কাকলী পাল (ভিতরকামতা, কোচবিহার)

মাতৃঋণ সহস্রাধিক শতাব্দী পেরিয়ে,
বহমান গঙ্গায় বয়ে চলেছে,
আবহমানকালের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনে!
শতাব্দী প্রাচীন বুড়ো বটবৃক্ষের শাখায়
অজস্র ঝুড়ি আঁকড়ে ধরে রেখেছে মৃত্তিকা।
আলো হাওয়া হীন মাতৃ জঠরে;
পৃথিবীর সবটুকু রোদ, চাঁদের বাঁধ ভাঙা জ্যোৎস্না,
অনাগত সংবাদ ইচ্ছে গুলো বেড়ে ওঠে।
গর্ভস্থ ভ্রুণ বিকশিত হয় জরায়ুর আধারে,
মাতৃ নাভি সংযোগে অপত্যের অচ্ছেদ্য বন্ধনে,
নাভি মানে মাতৃত্ব!
একটি প্রাণের পাত্রে বিকশিত নতুন প্রাণের স্পন্দন
দেহ ছাই হয় চিতার আগুনে,
অপত্যের বন্ধন তবুও হয় না বিচ্ছিন্ন,
স্মৃতি চিহ্ন রূপে থেকে যায়,
নাড়ী ছেঁড়া মমতায়
আমার মায়ের মুখ খানি
এক খন্ড মাংসপিন্ড…. নাভিকুন্ড!
চিতা ভস্মের ছাইয়ে খুঁজে পাই
মাতৃ নাভিকুন্ড! মৃত্যুও হেরে যায়,
জাগতিক মাটির শরীর বিলীন হয়,
অকৃতজ্ঞ সন্তানের হাতের আগুনে,
তবুও নাভিকুন্ড অমর অমরার স্নেহ বন্ধনে!!