মানব জমিন কাঁচা সোনা

কাকলী পাল (ভিতরকামতা, কোচবিহার)

কত শত শতাব্দী পেরিয়ে,
হিজলের ছায়ায় নীল সমুদ্র দেখেছিলাম,
অজন্তার নিখুঁত ভাষ্কর্য যেন ক্ষুধিত পাষাণ!

ঋতু পরিবর্তনের কালবেলায়,
ঘাসফুলেরাও ফুটেছে দ্যাখো…
নক্ষত্রকে সাক্ষী রেখে নীল অপরাজিতাও আকাশের নীলে মিশে গেছে,

বিক্ষিপ্ত মধ্যরাতে ঘুমন্ত নক্ষত্রের মৃত্যুও হয়–
ধরণীর কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমায় তৃণলতা,
প্রশান্ত মুখমন্ডলে উপেক্ষিত অপেক্ষারা অবহেলিতই রয়ে যায়।

জাগতিক প্রেম বিপ্রতীপ কোণে,
ভাষা হারায় মূকাভিনয়ে।
নশ্বর শরীর পচে দূর্গন্ধ ছড়ায়,
হৃদয় মরে পাথরকুঁচি ফোটায় ফুল,

সহস্রাব্দের গন্তব্য হীন আলপথ বেয়ে,
হাওয়া ,মাঠ,প্রান্তর পেরিয়ে ফকির বাউল ,
পর্ণ কুটিরে দেহতত্বের নিগূঢ় সাধনায়—-
‘মানব জমিন কাঁচা সোনা’।

দৈবদৃষ্ট সুরের মায়ায় শূন্য জীবন পূর্ণতা পায় ;
নশ্বর কায়া মিশে যায় পঞ্চভৌতিক দ্রব্যে,
দেহের সাধন শরীর পাতনে ওমকার ধ্বনির ঐশ্বরিক চেতনায়।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )