শেষের ভালোবাসা
কবিতা মুখার্জ্জী বিশ্বাস (বালি, হাওড়া)

সম্বন্ধ করেই হলো যে আমার বিয়ে
প্রেমিক আমায় বিয়ে করলো কই?
এবার ষাট বছরের জন্মদিনের দিন
বর দিল আমায়,লাল গোলাপ আর বই।
সেদিন সন্ধ্যাবেলায় গেলাম সবাই মিলে
এক অভিজাত রেস্তোরাঁতে করতে ডিনার,
সবাই বলতে আমার বর,পুত্র আর পুত্রবধূ
বরের ঠোঁটে কোণে,তার প্রিয় চারমিনার।
ছেলে আমার করেছিল জমকালো আয়োজন
ছিল আমার বড্ডো প্রিয় সেই বাটার স্কচ কেক!
মূহুর্তে মনে পড়ে গেল পুরানো সব কতো কথা
মনে আছে তোমার সঙ্গে যেতাম রবীন্দ্র লেক।
কেক কাটবো বলে দাঁড়িয়েছি যেই না উঠে
চোখ আটকালো এক্কেবারে কোণের টেবিলে,
নীল পাঞ্জাবি,ঝোলা ব্যাগ,চোখে মোটা চশমা
ভাবিনি তোমায় দেখবো সাদা উস্কোখুস্কো চুলে।
এক মনেতে নিজের মতো কি যেন লিখছিলে!
বরাবরই লেখার হাতটা তোমার ছিল যে খাসা,
সেই লেখাটা মনে পড়ে কলেজ ম্যাগাজিনে?
সেখান থেকেই তো শুরু তোমাকে ভালবাসা।
নীল রংটা তখন থেকেই খুব প্রিয় ছিল তোমার
পাল্টায়নি তো এখনও,আজও ভালোবাস নীল?
তবে লাল কালিতেই লিখতে আমাকে প্রেমপত্র
আজ হয়েছে বিবর্ণ,হারিয়েছে সে প্রেমের দলিল।
এখনও কি সেই বাউন্ডুলে,না ঘর বেঁধেছ তুমি?
বুঝি আমার থেকেও অনেক প্রিয় সেই মেয়ে!
আমিও তখন খুব প্রিয় ছিলাম তোমার কাছে
হঠাৎ করেই যে হয়ে গেলাম ভীষনই একঘেয়ে।
আজও মনে মনে আমি তোমাকেই ভালোবাসি
কি করে ভুলি বলো আমার প্রথম ভালোবাসা!
ভালো থেকো তুমি প্রিয় তোমার প্রেমিকাকে নিয়ে
পরজন্মে আমি হবো তোমার ‘শেষের ভালোবাসা’।