চাঁদনী রাত

মমতা শঙ্কর সিনহা পালধী (নিউ ব্যারাকপুর, উত্তর চব্বিশ পরগণা)

কেটেছে কত চাঁদনী রাত,,,
আকাশের বুকে তারারা এঁকেছিলো কত না আলপনা,,,
আজও আকাশের গায়ে তারা প্রতি রাতে এঁকে চলে আলপনার নক্সা—
কিন্তু আধুনিক বাস্তবতার দ্রুততার জীবনযুদ্ধে সে সব আজ হয়ে যায় দৃষ্টিকোণের অধরা মাধুরী। ।
ছেলেবেলার চাঁদনী রাতে মলয় বাতাসে মাধবীলতা দোল খেতো পাঁচিলের গা-জড়িয়ে।।
পৃথিবীর সিগ্ধ সে চাঁদনী রাতের বুকে ফেলে আসা শৈশব-কৈশোর জীবনের গল্প যৌবনে এসে কথায় যেনো হারিয়ে গেলো—
হারিয়ে গেলো আঁধার রাতের লন্ঠনের আলো—
হারিয়ে গেলো ডাকহরকরা,,,
চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার গল্পটা কাল্পনিক চরিত্র জানতে পারলাম যখন,,
তখন কঠিন সময়ের বাস্তবের জগতসংসার যেনো অক্টোপাসের মত আষ্ঠেপিষ্ঠে বেঁধে ধরছে জীবনটাকে।।
আজও গ্রাম বাংলার বুকে চাঁদনী রাতে পৃথিবীর আঁচল তলে প্রকৃতির মায়াবী রূপ খেলা করে চলে—
নদীর বুকে হয় তো আজও ভাটিয়ালী গান ধরে জেলে মাঝি–মাছ ধরার ফাঁকে,,
ঝিল্লির ডাক–জোনাকির মিটিমিটি আলো–বর্ষার ভেকের ডাক—মাঝরাতে শিয়ালের মর্মভেদী চিৎকার কোথাও না কোথাও পুরাতন ফেলে আসা দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।।
স্মৃতির পাতা ওলটাতে ওলটাতে নিজেকে নিজের কাছে বড্ড ভিখারী মনে হয়—আর্থিক–সামাজিক প্রতিপত্তির মহোমায়ায় কতকিছু পিছনে ফেলে ভালোবাসার কাঙাল হৃদয় জীবনের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত আলেয়ার পিছে ছুটে চলে–
হায়!!
সব বুঝেও যে জীব যুদ্ধের লড়াইতে টিকে থাকতে মেট্রোরেলের মত আধুনিকতার উন্মত্ততার গহ্বরে স্বেচ্ছায় নিজেকে—প্রিয়জনকে ভালো রাখার তাগিদে নিমজ্জিত হতে হয়!!

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )