
পালাজুড়িয়া দীগর ষোল আনা কমিটির নবনির্মিত হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁকুড়াঃ- দেবপ্রতিমা নির্মাণ, প্রতিমার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা, প্রতিমার সংস্কার পদ্ধতি বা অর্চনা-বিধিও অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত এবং শাস্ত্রভুক্ত। ঈশ্বরের উপাসনা-পূজার কারণ তো মিথ্যা নয়। পূজা-উপাসনার ফলপ্রাপ্তিও নিশ্চিত।
বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের পালাজুড়িয়া গ্রামে নবনির্মিত হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সাতসকালে গ্রামের শতাধিক পুরুষ ও মহিলা সম্মিলিত ভাবে গোস্বামীগ্রামের নদী ঘাট থেকে কলস যাত্রার মাধ্যমে জল নিয়ে আসেন। পরে পুজো অর্চনা শুরু হয়। দিন ভোর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। এদিনের এই নরনারায়ণ সেবায় এলাকার প্রায় চার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য এখানের হরি মন্দির টি অতি প্রাচীন এবং ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছিল। তাই গ্রামের মানুষজন একত্রিত হয়ে নতুন করে মন্দির পুনঃনির্মাণ করে। যা দেখতে অতি সুন্দর হয়েছে। ভারতের বৈদিক সংস্কৃতি আমাদের বিশেষ দিনগুলিকে হরি নাম সংকীর্তনের মতো ধার্মিক ক্রিয়াকলাপ দিয়ে শুরু করতে শেখায় যা আমাদের জীবনে আশীর্বাদ এবং সমৃদ্ধির আহ্বান জানায়। তাই নতুন রূপে হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়াতে খুশি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষজনেরা। আসুন জেনে নি পালাজুড়িয়া দীগর ষোল আনা কমিটির নবনির্মিত হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কি জানালেন আয়োজকরা।