
শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে আসানসোলে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব সংবাদদাতা: আসানসোল:-
লোকসভা নির্বাচনের আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে শুক্রবার দুপুরের দিকে আসানসোল ঊষাগ্রাম জিটি রোড থেকে হটন রোড মোড় পর্যন্ত রোড শো করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। এদিন বিশেষ ধরনের হুড খোলা গাড়ি করে রোড শো করলেন অভিষেক ব্যানার্জী। হটন রোড মোড়ে এসে অভিষেক ব্যানার্জী বক্তব্য রাখেন।

শুক্রবার আসানসোল উষাগ্রাম হাইস্কুল মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে অভিষেক ব্যানার্জীর চপার।এদিকে, অভিষেক ব্যানার্জীর এই রোডশোয়ের জন্য উষাগ্রাম থেকে হটন রোড পর্যন্ত জিটি রোড যান চলাচল দুপুর দুটো থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব জায়গায় ব্যারিকেড লাগানো হয়। দড়ি দিয়ে আটকে দেওয়া হয় জিটি রোড সংযোগকারী সব বাইলেন। গোটা রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।রোড শো কে কেন্দ্র করে বহু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রোড শো কে কেন্দ্র করে চারিদিকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, রানীগঞ্জ বিধায়ক তাপস ব্যানার্জী সহ আরও অনেকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী চাইলেও লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবে না।যতদিন তৃণমূল সরকার আছে ততদিন পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডার সবাই পাবে।
তিনি আরও বলেন সূর্যের আলো কে যেমন রোখা যায় না, তেমনি উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া কে কখনো থামানো যাবে না। এই বলে তিনি উদাহরণ দিয়ে দাবী করেন,২০১৪-২০২২ এই লোকসভায় বাবুল ছিলেন সাংসদ। আর সেই সময় মোদি বলেছিল মুঝে বাবুল চাহিয়ে। এরপর ২০২২ এ মোদির গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করেনি বাবুল,সে আমাদের দলে নাম লিখিয়েছে। উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হয়েছে তাকে।একসাথে তিনি দাবি করেন,
প্রধানমন্ত্রী সভা করে বলেছে,এটা শুধু ট্রেলার দেখিয়েছি, তাহলে বুঝুন ১০ বছরে কিনা তিনি ট্রেলারে দেখলেন, আর এবার কি দেখাবেন তা জনগণ আগেই বুঝতে পেরেছে। তার দাবি পেট্রোল, ডিজেল, গাসের দাম বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। গরীবের রান্না সামগ্রী, জিরে তে ১৮ শতাংশ জিএটি লাগলেও, হিরেতে নেই জি এস টি। এই বলে তিনি দাবি করেন বিজেপি ১০ পয়সার বাড়তি উন্নয়ন করেনি ৮ বছরে।
তিনি আরো বলেন যে আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিকে নিয়েও কটাক্ষ করে বলেন দার্জিলিংয়ে তিনি প্রথমবার জেতেন, কিন্তু তাপর পাঁচ বছর তাঁকে আর দার্জিলিংয়ে দেখা যায়নি। তাই দল তাঁকে সোজা এনে দাঁড় করালো বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। এখানে জিতেও তিনি কাজ করেননি। তাই এবার তাঁকে আসানসোলে প্রার্থী করা হল। আসানসোেল হল সীমান্ত এলাকা। সীমান্ত পার করলেই ঝাড়খন্ড। এরপর বাংলার মানুষ তাঁকে বাংলা পার করে দেবে।
তিনি আরো বলেন দার্জিলিং দিয়ে আহলুওয়ালিয়ার রাজনৈতিক জীবন শুরু এই রাজ্যে আর শেষ হবে আসানসোলে। সারা বছর কাজ করেন না তিনি, আর ভোটের আগে টাকা দিয়ে ভোেট কিনতে চান উনি। আমি বলবো টাকা দিলে টাকা নিয়ে নেবেন কারন ওই টাকা আপনাদের টাকা কিন্তু ভোট দেবেন না ওনাকে। যে যে ভাষা বোঝে তাঁকে সেই ভাষাতেই জবাব দেবেন।
বক্তৃতার শেষের দিকে অভিষেক ব্যানার্জী বলেন আজ আমি খুঁটি পুজা আসানসোলে করে গেলাম আর বিসর্জনটা ৪ তারিখে হবে।
এই বলেই তিনি সকলকে আবার হাত নাড়িয়ে রওনা দিলেন হেলিকপ্টারের উদ্দেশ্যে।