
জাহানারা খানের হয়ে প্রচারে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম
কৌশিক মুখার্জী: আসানসোল:-
১৩ মে আসানসোেল কেন্দ্রে নির্বাচন। শনিবার এই কেন্দ্রের প্রচারের শেষদিন। প্রচারের অন্তিমলগ্নে আসানসোলে সব দলের প্রার্থীদের হয়ে হাইভোল্টেজ প্রচার সারা হয়েছে। তেমন বাদ যায়নি জোট প্রার্থী জাহানারা খানেরও। শুক্রবার সকালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম এল পদযাত্রা করেন।আসানসোলের রেলপার বালবোধন স্কুল ময়দান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আসানসোল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এসে পদযাত্রাটি শেষ হয়।পদযাত্রা শেষে পথসভা করেন।উপস্থিত ছিলেন বাম কংগ্রেস জোটের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা। এর পর সিপিএমআই রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

তিনি বলেন আমাদের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এই সন্দেশখালি বিষয়ে উত্থাপন করেছিলেন। সেখানে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সোনালী গুহ যিনি এখন বিজেপিতে রয়েছেন, তিনি সেই সময় তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। তখন তিনি নিরাপদ সর্দারের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যে শুভেন্দু অধিকারী আজ বড় বড় কথা বলছেন, তিনি তখন প্রতিবাদ করেননি। মহঃ সেলিম বলেন, আজ জনগণের মৌলিক সমস্যা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। শুধু এমন সব বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে যার সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই। মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। বেকারত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, মানুষের কর্মসংস্থান নেই। প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল।. আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কলকারখানার দূষণের কারণে মানুষের জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মিডিয়াতেও একই বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। মিডিয়াতে এমন সব কিছু আলোচনা করা হচ্ছে, যা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে।তিনি আরো বলেন আমাদের প্রার্থী তালিকা দেখেছেন অর্থনীতি রাজনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য সমাজ কে রক্ষা করবে নতুন প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত কাঠামো তৈরি করবেন সামাজিক অর্থনৈতিক এর জন্য লড়াই করবেন যেটা আমাদের হক নিজের অধিকার নিয়ে লড়বে। শিল্পায়নের প্রশ্ন শিক্ষার প্রশ্ন স্বাস্থ্যের প্রশ্ন বেকারদের চাকরির প্রশ্ন নিয়ে সেটাকে নিয়ে দিল্লিতে সোচ্চার হতে পারবে আমাদের প্রার্থী জাহানারা খান মহিলা সমিতির নেত্রী লড়াকু নেত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে আর বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতি বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই কেন্দ্রের মানুষের কাছে আপনাদের মারফত আবেদন জানাতে এসেছি। সকালে রেলপাড় কলোনির এলাকাতে প্রার্থীকে নিয়ে ঘুরেছি মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখেছি আমাদের প্রার্থী সমস্ত জায়গাতেই ঘুরেছে যে কিছু এলাকায় মানুষ এর কাছে পৌঁছাতে পারেনি সেখানকার মানুষ ও উৎসাহের সঙ্গে তাকে ডেকে নিয়ে এসেছেন বৈকালে জামুরিয়ায় সভা করব এরপর বীরভূমে কংগ্রেসের সমর্থনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন তার হয়ে সভা করব। আমরা কংগ্রেস এবং বামপন্থী একসাথে হয়েছি তার কারণ দেশের আগুন নেভাবার জন্য।