গভীর জঙ্গল থেকে কাটা হচ্ছে গাছ,বিক্ষোভ আদিবাসী ২২মৌজার মানুষের

গভীর জঙ্গল থেকে কাটা হচ্ছে গাছ,বিক্ষোভ আদিবাসী ২২মৌজার মানুষের

কৌশিক মুখার্জী: সালানপুর:-

গভীর জঙ্গল থেকে কাটা হচ্ছে গাছ।গভীর জঙ্গলের ভেতরেই বনদপ্তরের কর্মী আধিকারিকদের সামনেই তুমুল প্রতিবাদ আদিবাসী ২২মৌজার মানুষদের।বুধবার সকালে আদিবাসী ২২মৌজার লো এবং খেরোয়াল মহলের তরফে হদলা জঙ্গলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।আসানসোলের মাইথন সংলগ্ন এলাকায় গভীর বনাঞ্চল থেকে বিনা অনুমতিতে কেটে নেওয়া হচ্ছে গাছ।কিসের স্বার্থে এইসব গাছ কাটা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে কার্যত বনদপ্তরের আধিকারিকদের ঘিরে গভীর জঙ্গলে ঢুকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বিক্ষোভ প্রতিবাদে নামলেন।আসানসোলের হদলা অঞ্চলে রয়েছে ঘন জঙ্গল আর এই জঙ্গলের আশেপাশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, তারা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। শেষ পর্যন্ত বনদপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে যেসব এলাকায় গাছ কাটা হচ্ছে সেইসব এলাকায় গিয়ে কার্যত বনদপ্তরের আধিকারিকদের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেছে আদিবাসীরা।তারা অভিযোগ এক শ্রেণীর জমি মাফিয়ারা জোর পূর্বক বনদপ্তরের জমি দখল করে চোরের মতন গাছ কেটে জমি ঘেরাও করছে।এদিন তারা যখন বন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে জঙ্গলে গাছ কাটা দেখতে আসেন তখন ঘটনাস্থলে ধরা পড়ে রাজীব মুর্মূ নামক এক ব্যক্তি।তিনি জানান চিত্ত মাঝি নামক এক ব্যক্তি এই কাজ করাচ্ছে।তার সঙ্গে রয়েছে বিমল গোরাই ও জাকির আনসারী।তারা এই অঞ্চলে পার্ক ও কটেজ করবে বলে এই জায়গা ক্রয় করেছেন।আর তিনি তাদের আদেশে কাজ দেখাশুনা করছেন।ঘটনাস্থলে বন দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি রয়েছে কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ।

চিত্ত মাজি জানান দুই আদিবাসী দলের মধ্যে ঝামেলা একদল বলছে কাজ করে পারিশ্রমিক নেব, আর একদল বলছে কাজ না করেই পারিশ্রমিক নেব। এই নিয়ে দুদলের মধ্যে ঝগড়া। তার মধ্যে একদল রিপোর্ট করে। যেটা আমরা করছি আমরা ওখানে একটা ইকো ট্যুরিজম করতে চলেছি তার জন্য জায়গা পরিষ্কার করার কাজ আমাদেরকে করতে হবে চোখ জঙ্গল কাটতে হবে। আমরা একটাও গাছ কাটেনি অলরেডি ৩০০০ চারা গাছ লাগাবো বলে গাছের অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার গাছ লাগানোর।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )