
মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থী অজয় কুমার দাস এর সমর্থনে নওশাদ সিদ্দিকী
বাইজিদ মণ্ডল: উস্থি:- আর মাত্র কয়েকটা দিন তার পর সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফা নির্বাচন,তার আগে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী অধ্যাপক অজয় কুমার দাস এর সমর্থনে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্গত উত্তর কুসুম কারবালায় জনসভায় উপস্থিত isf চেয়ার ম্যান তথা ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তিনি জানান আমাদের লড়াই, মানুষের অধিকার ফিরে পাবার লড়াই। আমাদের লড়াই, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এই লড়াই হিন্দু-মুসলমানের নয়। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তাই এই অধিকার রক্ষার লড়াইকে শক্তিশালী করতে এবং পিছিয়ে পড়া দলিত ও আদিবাসীদের কষ্টের কথা পার্লামেন্টে তুলে ধরতে চুপচাপ খাম চিহ্নে বোতাম টিপে সংসদে পাঠাতে হবে আইএসএফ প্রার্থীদের। এইভাবেই নওসাদ সিদ্দিকী তিনি প্রতিটি জনসভায় ও মিছিল থেকে তাঁর জনসভাগুলিতে সুস্পষ্টভাবে দলের এই বার্তা মানুষকে দিয়ে যাচ্ছেন। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুটি স্থানে, মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্র পুর ও উত্তর কুসুম কারবালায় আজ জনসভা গুলি হয়েছে। প্রতিটা জনসভায় সাধারন মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। এই জনসভাগুলিতে আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা রাজ্য বিধানসভার সদস্য নওসাদ সিদ্দিকী বলেন ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, আইএসএফ এর পতাকা তোলে সাধারণ মানুষের আগমন ততই বেড়ে চলেছে এবং আইএসএফের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। এই দল হয়ে উঠছে মানুষের ভরসাস্থল। ফ্যাসিবাদী বিজেপি, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ে রাস্তায় আইএসএফ। যেখানে শাসকের অত্যাচার, অবিচার সেখানেই আইএসএফ। এটা সহ্য হচ্ছে না বলে কখনো মুসলমানের দল অথবা কখনো বিজেপি’র দালাল বলে কটাক্ষ করছে রাজ্যে শাসক দল। নওশাদ সিদ্দিকী তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন কে কি বলল, তাতে আইএসএফ থরী কোনো পরোয়া করে না। আইএসএফ আদিবাসী, দলিত, মুসলমান সহ সমস্ত পিছিয়ে পড়া মানুষ, যাদের অস্তিত্ব বিপন্ন, তাদের জন্য সোচ্চার হয়ে যাবেন। এইভাবেই সমাজ বদল করতে হবে,সেই সমাজ বদলানোর লড়াইয়ে। তাই দেশের আইনসভায় নিজেদের প্রতিনিধির সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আবারও বলেন, আত্মসম্মান বিকিয়ে আইএসএফ কোন সমঝোতায় যায় নি আর কখনো যাবেনা। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের তুমুল সমালোচনা করে বলেন, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে মূলগত কোন পার্থক্য নেই। এরা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে একে অপরকে সাহায্য করে চলে। তাই বিজেপিকে হারালে তৃণমূল কংগ্রেসও আটকে যাবে। আইএসএফ রাজ্যের মানুষকে বিকল্প দিশা দেখাচ্ছে। তাই মানুষ এই দলের পতাকাতলে আসছে। এতে তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপি’র তো বটেই, ইদানিং বামপন্থীদেরও গায়ে জ্বালা করছে। এখানে উপস্তিত ছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের সকল isf এর নেতৃত্ব প্রমুখ। দলীয় সূত্রে যেমনটা জানা গেছে এই লোকসভা নির্বাচনের আজই isf এর এটাই এবছরের শেষ জনসভা ও প্রচার।