
ইটের আঘাতে জখম সাংবাদিক সহ ৯
কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং:-
বিক্ষিপ্ত কয়েকটি গন্ডগোল ছাড়া একপ্রকার শান্তিতেই শেষ হলো জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। শনিবার রাজ্যে শেষ দফার ভোটে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের ক্যানিং ও কুলতলিতে সামান্য গোলমাল হয়। এছাড়া আর কোথাও কোন গোলমাল হয়নি।ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এবং কুলতলি এলাকার মেরিগঞ্জ ২ এ এজেন্ট বসাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারপিট হয়। এতে দুটি জায়গায় কম করে ৯ জন আহত হয়েছেন । এদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন সাংবাদিক বান্টি মুখার্জি (২৮) ও সুভাষ চন্দ্র দাশ।বান্টি মুখার্জীকে কলকাতার একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় ইটের আঘাতে আরো ৫-৬ জন ভোটদাতাও আহত হয়েছেন। তারা সবাই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। মেরিগঞ্জে বিজেপি সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। তাতেই লোহার রড, লাঠি এবং লঙ্কার গুঁড়োতে আহত হয়েছেন ৪/৫ জন। আহতরা সবাই তৃণমূল সমর্থক বলেই জানা গেছে। এদিকে কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল সমর্থক বাকি বিল্লাহ লস্কর (৫৫ ) বিজেপি সমর্থকদের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর। মাথায় ১১ টা সেলাই করতে হয়েছে। কুলতলিতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।অন্যদিকে সাংবাদিক বান্টি মুখার্জির মাথায় ৭টি সেলাই পড়েছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন জয়নগরের কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ তাদের দলীয় ক্যাম্পে তারা বসে থাকার সময় আচমকাই তাদের উপরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় এবং তাদেরকে মারধর করে। সঙ্গে চলে ইট বৃষ্টি । তাতেই গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন সমর্থক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দয়াল হালদার, কর্ণ হালদার, দিনো নাইয়া প্রমুখ। শুধু কুলতলি নয়, বাসন্তীর ঝড়খালির ৪ নম্বর শেষের গ্রামেও বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, এরা মন্ডল পরিবারের পাঁচজন জখম হয়েছেন। শুক্রবার রাতেই বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থকরা বলে অভিযোগ। এরা বাসন্তী থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়াও বিরোধী এস ইউ সি আইয়ের অভিযোগ, কুলতলির বুথ নম্বর ৪০ এবং ৪১ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম জলে ভাসতে দেখা গেছে।
এছাড়াও মেরিগঞ্জ ১ নম্বরে ৮ নম্বর বুথে নয়া পাড়া স্কুলে এবং বুথ নম্বর ১৯ ও ২০ ধানখালি এফ পি স্কুলে, বুথ নম্বর ১৩ কচিয়ামারা হেমচন্দ্র হাই স্কুল, বুথ নম্বর ১৪ বেনিমাধবপুর আই সি ডি এস সেন্টার বুথে তৃণমূলের গুণ্ডারা সাধারণ ভোটারদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে বলে এস ইউ সির অভিযোগ। তারা গোটা বিষয়টি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে।