
নজরে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফাইনাল এক্সপোজার:- বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে পরপর দু'বার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। পরে বাবুল পদত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে ওঠে। 'বিহারী' বাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করে তৃণমূল এবং তার হাত ধরেই একদা বামদুর্গ আসানসোলে পদ্ম ফুলের পরিবর্তে প্রথমবারের জন্য ঘাসফুল ফোটে। এবারের নির্বাচনে তাকেই তৃণমূল দ্বিতীবারের জন্য প্রার্থী করে এবং জোরদার প্রচারে নেমে পড়ে। ওদিকে তখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার জন্য মনমরা হয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। একেবারে শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রার্থী হিসাবে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল উৎসাহে প্রচারে নেমে পড়ে বিজেপির কর্মীরা। তারা ভেবেই নিয়েছিল প্রতিবেশি বর্ধমান পশ্চিমের মত এখানেও আলুওয়ালিয়া ম্যাজিক কাজ করবে এবং তার হাত ধরেই আবার তারা আসানসোল কেন্দ্রটি ফিরে পাবে। শুরুটা হয়েছিলও ভাল। প্রথম তিনটি রাউন্ডে এগিয়ে থাকার পর বিপত্তি শুরু হয় চতুর্থ রাউণ্ড থেকে। এগিয়ে যেতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যবধান বাড়তেই থাকে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা তার নিকটতম বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে ৫৯ হাজারের বেশি ব্যবধানে পরাস্ত করে দ্বিতীয় বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ফল ঘোষণার পর তৃণমূল প্রার্থী জয়ের জন্য সমস্ত কৃতিত্ব দেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীকে। তিনি আরও বলেন এই জয় তৃণমূলের সমস্ত কর্মকর্তার জয়, জনতার জয়।