
কপালে তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে আসতে নিষেধ করায় বিক্ষোভ
রক্তিম সিদ্ধান্ত: মুর্শিদাবাদ:- কপালে তিলক এবং গলায় মালা পরে স্কুল আসতে বারণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয় চত্বর। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিদ্যালয়ের সামনে খোল, করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখান ইসকনের কয়েকশো সদস্য। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে মাথায় তিলক এবং গলায় ধর্মীয় মালা পরে আসার অনুমতি দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন ইসকনের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনু মণ্ডলকে এবছর গরমের ছুটি শুরুর আগে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা কপালে তিলক এবং গলায় মালা পরে স্কুলে আসতে বারণ করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল অনুর এই আচরণ স্কুল পোশাক পরে মানানসই নয়।
গরমের ছুটির শেষে স্কুল শিক্ষিকাদের নির্দেশ অমান্য করে অনু ফের একইভাবে স্কুল পোশাকের সঙ্গে গলায় মালা এবং কপালে তিলক কেটে স্কুলে আসা শুরু করে।
অনু মণ্ডলের কথায় ‘স্কুল শিক্ষিকাদের কথা অমান্য করায় এক জন শিক্ষিকা বকাবকি করেন। আমি জানাই তিলক পরে না আসার কথা পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু স্কুলের শিক্ষিকা তা না করে উল্টে ভয় দেখান। এরপর গোটা বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানাই।’ সূত্রের খবর এরপরই অনুর পরিবার যে ধর্মে দীক্ষিত, তাদের কয়েকজন সদস্যকে গোটা বিষয়টি জানান। তারপর শুক্রবার সকালে ইসকনের সদস্যরা স্কুলের সামনে গিয়ে খোল করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন। গোবিন্দ দাস নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার পর সমস্যা মিটে গেছে। অনু এবার থেকে নিয়মিতভাবে তিলক কেটে এবং গলায় ওই মালা পরে স্কুলে যেতে পারবে।’ রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দী বলেন, ‘ওই ছাত্রী কপালে তিলক কেটে স্কুলে এলে কোনও সমস্যা নেই।’