গত তিন মাস ধরে রেশন সামগ্রিক না মেলায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের

গত তিন মাস ধরে রেশন সামগ্রিক না মেলায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের

কৌশিক মুখার্জী: জামুড়িয়া:- গত তিন মাস ধরে রেশনের সামগ্রিক না মেলায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের।রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষ জন।ঘটনাটি জামুড়িয়ার ১০নম্বর ওয়ার্ডের।জানা যায় রেশন ডিলার গত তিন মাস ধরে রেশনের সিলিপ দিয়ে আসছে কিন্তু গ্রাহকদের রেশন দিচ্ছে না।আজ তার রেশন দেওয়ার কথা ছিলো সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে ছিলো রেশন দোকানের সামনে।তবে আজও রেশন না পাওয়ায় স্থানীয় গ্রাহকরা উচিৎ হয়ে পড়ে।রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করে।তারা এদিন রাস্তায় ছাতা মাথায়, সাইকেল, মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে বিক্ষোভে অনড় থাকে। সকাল ৭টা থেকে চলা এই বিক্ষোভ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদ্য পরিদর্শক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেই নেতাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত তিন মাস ধরে তাঁরা রেশন পাননি। প্রতি মাসে এলাকার মানুষ রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও তা পাইনা তারা। তাই এবার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনো মূল্যে তারা রেশন নেবে। সেজন্যই প্রচণ্ড গরমে মানুষ রেশনের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে বসে থাকে পরে যখন তারা জানতে পারে, যে তারা রেশন পাবে না তখন ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে তারা। তাদের দাবি নিঘা এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কারোর মাথাব্যথা নেই। এদিন বিক্ষোভের এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি ভোলা পাসওয়ান।তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডে মানুষ রেশন না পেয়ে প্রতিনিয়তই নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কেন এমন রেশনের জন্য বারবার মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করে বসেন।বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে, খাদ্য পরিদর্শক বলেন, রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে আগামীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই মাসে 40 কুইন্টাল রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে রেশন ডিলারকে দেওয়ার কথা ছিল যা বকেয়া। সেই রেশন চিহ্নিত করে মানুষকে দেওয়া হবে। গত দুই মাসের বকেয়া পাওনা সম্পর্কে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, যে তিনি নিজেকে একজন রেশন ডিলার ভাববেন। সরকারিভাবে কোনো বকেয়া নেই, গত দুই মাসের রেশন ডিলারকে দেওয়া হয়েছে। জনগণের রেশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হলে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেই জানান তিনি।পরিস্থিতির সামল দিতে আসে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।তবে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষরা।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )