
পাথরের তৈরি বাঁশিতে সুরের মূর্ছনা, শুশুনিয়ার শিল্পীর হাতের জাদুতে মোহিত সকলে
শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার এক শিল্পী গোটা একটা পাথরকে কেটে তৈরি করেছেন একটি বাঁশি। বাঁশির গায়ে খোদাই করা রয়েছে অপূর্ব সব কারুকার্য। আর বাঁশির মতই সুন্দর সুর তোলা যায় পাথরের এই বাঁশি দিয়েও। পাথর দিয়ে তৈরি হলেও অত্যন্ত নৈপুণ্যের সঙ্গে পাথরের ভিতরটা খোদাই করে বাঁশির তৈরি করা হয়েছে যা দিয়ে মনোরম সুরের মূর্ছনা তোলা যায়। শুশুনিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিল্প পাথর শিল্প। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ যুক্ত পাথরের নানান মূর্তি তৈরির শিল্পের সঙ্গে। পাথর শিল্পী অভীক কর্মকার প্রায় ২১০ দিন ধরে ধৈর্যের সঙ্গে পাথর খোদাই করে বানিয়েছেন এই বাঁশিটি। অপূর্ব দর্শন এই বাঁশির জন্য ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ অধিকার পশ্চিমবঙ্গ কারুশিল্প প্রতিযোগিতা ২০২৩-২০২৪ এ বাঁকুড়ার শিল্পী অভীক কর্মকার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এছাড়াও এই বাঁশি রাজ্য স্তরেও পেয়েছে প্রথম পুরস্কার। বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার এই পাথর শিল্পীর তৈরি করা আশ্চর্য বাঁশিটি দেখে অবাক হবেন আপনিও।
পাথরের তৈরি হলেও ওজনে বেশ হালকা এই বাঁশিটি। বাঁশির গায়ে খোদাই করা রয়েছে শ্রী কৃষ্ণের জীবনের বেশ কিছু অংশ। এই বিষয়ে শিল্পী অভীক কর্মকার বলেন, বাঁশি মানেই কৃষ্ণ। সেই কারণেই কংশ বধ থেকে শুরু করে শ্রী কৃষ্ণের অবতার রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বাঁশিতে। পাথরের মধ্যেও যে বাঁশির সুর আনা সম্ভব সেটাই ভাবতে পারেননি শিল্পী নিজেই। এক প্রকার পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি করার পর তিনি বুঝতে পারেন যে এই বাঁশি বাজিয়ে তোলা যায় সুরের মূর্ছনা।