আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ- দাবি আইএনটিটিইউসির

আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ- দাবি আইএনটিটিইউসির

নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোল:-

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শহর পরিষ্কার ও যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরে সারা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও জেলা প্রশাসন ও পৌরনিগমের উদ্যোগে শুরু হয়েছে জবরদখল মুক্ত অভিযান। শনিবার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসানসোল শহরের বি এন আর মোড় থেকে কোর্ট পর্যন্ত রোডের দুই পাশে জবর দখলকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নো পার্কিং এলাকায় কোনো বাইক বা চার চাকার গাড়ি না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জবর দখলকারীরা ফুটপাত মুক্ত না করলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করছেন, তাদেরও সচেতন করা হয়।

তবে হকারদের দাবি তারা দীর্ঘ কুড়ি পঁচিশ বছর ধরে ওই এলাকায় হকারী করছে। এদের মধ্যে কেউ আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী আবার কারো দোকান রাস্তা থেকে ১০ ফুট দূরে। বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও ইলেকট্রিক কাগজপত্র রয়েছে তাদের কাছে। পুরনিগম থেকে সময় দেওয়া হলেও সময় দিতে রাজি নয় পুলিশ প্রশাসন। এখন রাতারাতি যদি দোকান স্থানান্তর না করতে পারে তবে তা পুলিশ ভেঙে দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। এই নিয়ে চিন্তায় দোকানদাররা। কোথায় যাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে। আর জার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে হকারের একাংশ ।

শনিবার এই বিষয় নিয়ে বেশ কিছু হকারদের সাথে নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে আসেন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া কিন্তু মেয়রের দেখা পাননি তাই তিনি ডেপুটি মেয়র ওয়াসিম উল হকের সঙ্গে দেখা করে হকারদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।এদিন রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, কে এই সমীক্ষার কাজ করছে, আসানসোল পুরনিগম না পুলিশ প্রশাসন জানা নেই। তবে হকারদের জন্য ৫ জনের একটি ভেন্ডিং কমিটি ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল। আমি তার কনভেনার। কিন্তু সেই ভেন্ডিং কমিটির কোনও মিটিং ডাকা হয়নি। যে কারণে প্রতিবারই যখনই সমীক্ষা করা হয় তখনই হকারদের সংখ্যা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে যে সরকার চলছে, সেই সরকার পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে। হকারদের যদি উচ্ছেদ করতে হয়, তবে তাদের আগে পুনর্বাসন দিতে হবে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )