বাংলার প্রথম চোখের অ্যাডভান্স কেমোথেরাপি কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর. আই. ও তে

বাংলার প্রথম চোখের অ্যাডভান্স কেমোথেরাপি কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর. আই. ও তে

বাইজিদ মণ্ডল: কলকাতা:– চোখের ক্যান্সার রোগ রেটিনোব্লাস্টমায় ভুগছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা অর্থাৎ এখন সুন্দরবন জেলার কুলপি থানার বছর দেড়েক এর মেয়ে পৃথা। এক চোখ তুলে নিতে হয় ও শুরু হয় কেমোথেরাপি অন্য চোখের জন্য ও প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে, এই ঘটনার দেড় বছর আগের। গত বুধবার তিন বছর বয়সের সেই মেয়ের একমাত্র চোখের চিকিৎসার বিরল নজির গড়ল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আর আই ও ডাক্তারদের টিম। এই টিমে ছিলেন মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডাঃ স্বর্ণবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্টারভেশনাল রেডিওলজিস্ট ডাঃ কৃষ্ণেন্দু সরকার ও চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ সৌম্যদীপ মজুমদার। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইন্ট্রা আরটারিয়াল কেমোথেরাপি মেলফালান দেওয়া হয় বাচ্চার অফথালমিক আর্টারি তে। ডাঃ কৃষ্ণেন্দু সরকার এবং তার টিম নিপুণভাবে নির্দিষ্ট আর্টারী চিহ্নিত করেন ও তারপর সেই কেমোথেরাপি ইনজেকশন দেওয়া হয়। পুরো পদ্ধতিতে অ্যানেস্থেসিয়ার ডাঃ দেবাশীষ হালদারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে সূত্রে জানা যায়।ডাঃ সৌমদ্বীপ মজুমদারের ভাষায়, “আর আই ও ডিরেক্টর প্রফেসর (ডাঃ) অসীম কুমার ঘোষের নিরন্তর প্রচেষ্টা, ডক্টর কৃষ্ণেন্দু সরকার ও ডাঃ স্বর্ণবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর উদ্যোগ ও সক্রিয় প্রচেষ্টা ছাড়া এই চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। আর আই ওর পিজিটি, নার্সিং স্টাফ এর প্রত্যেক জনের প্রচেষ্টা ও অবদান অনস্বীকার্য। চিকিৎসক টিম আন্তরিক প্রচেষ্টায় খুশি ছোট্ট পৃথার পরিবার ও তার এলার মানুষ।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (1 )