
বাড়ল আসন্ন দুর্গাপুজোর অনুদান
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই রাজ্যে ছোট ও বড় বাজেটের সমস্ত বারোয়ারি দুর্গাপুজো মূলত চাঁদা তুলেই হয়। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা লাভ করার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী দুর্গাপুজোয় জন্য অনুদান ঘোষণা করেন। শুরুটা হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। এবার সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হলো ৮৫ হাজার টাকা। পরের বছর সেটা এক লক্ষ টাকা করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের মাসুলে ৭৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ফায়ার লাইসেন্স ফি মুকুব করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরফলে রাজ্যের ৪৩ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি লাভবান হবে। এবছর ৯ ই অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। তার প্রায় আড়াই মাস আগে ২৩ শে জুলাই বিকাল ৪ টে নাগাদ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তা মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, কলকাতা পুলিশের আধিকারিক এবং ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী শারদোৎসব নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেয় জেলা পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুজো কমিটিগুলিকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করেন। প্রসঙ্গত দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। মৃৎশিল্পী, ঢাকি, শোলার সাজ প্রস্তুতকারক, প্যাণ্ডেল ব্যবসায়ী, বস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট বড় বহু ব্যবসায়ী তাদের সারা বছরের আয়ের একটা বড় অংশ এই সময় উপার্জন করে থাকে। ঘুরপথে কর বাবদ সরকারেরও আয় হয়। সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হলদিয়ার অরিন্দম দাস বললেন - এত কিছু দেওয়ার পর সরকার যদি প্রতিটি প্রতিটি পুজো কমিটিকে কমপক্ষে ৮৫ টি বৃক্ষরোপণ ও তত্ত্বাবধানের নির্দেশ দিতেন তাহলে খুব ভাল হতো। যারা সমস্ত গাছগুলো টিকিয়ে রাখতে পারবে তারাই পরের বছর পুরো অনুদান পাবে এবং এটাই হোক অনুদান পাওয়ার শর্ত। প্রসঙ্গত অরিন্দম বাবুর সংস্থা বর্ষা মরশুমে রাজ্যজুড়ে দশ লক্ষ বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে কাজ শুরু করেছে।