
বিশ্ব মাতৃস্তন্য পান সপ্তাহ উপলক্ষে মা ও শিশুর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন কর্মসূচি
বাইজিদ মণ্ডল: ডায়মন্ড হারবার:– ১লা আগস্ট, বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহের (World Breastfeeding Week) শুরু হয় এবং প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১-৭ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ পালিত হয় । ১৯৯০ সালের ইতালির ফ্লোরেন্সে ইনোসেনটি গবেষণা কেন্দ্রের ঘোষণার সম্মানে প্রতি বছর এটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ সারা বিশ্বে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উৎসাহিত করতে একটি বৈশ্বিক প্রচারাভিযান।১৯৯২ সাল থেকে “নারী ও কর্ম” এর সাথে মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ব মাতৃ দুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে। এবং একই সাথে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশু খাদ্যের আন্তর্জাতিক বিপণন সংস্থা ও সম্প্রদায় সমূহের সমর্থন নিয়ে, বাস্তুতন্ত্র, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং মানবাধিকার বিষয়াদির উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর একটি থিম তৈরি করে এটি উদযাপিত হয়। পাশাপাশি এদিন ডায়মন্ড হারবার গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ এ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে বিশ্ব মাতৃ স্তন্য পান সপ্তাহ উপলক্ষে, মাতৃ স্তন্য পানের গুরুত্ব এবং মা ও শিশুর উপকারিতা সম্পর্কে অডিটোরিয়ামে এক সচেতন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্তিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার গভঃ মেডিক্যাল কলেজ এর প্রিন্সিপাল ডা: উৎপল দাঁ, এম এস ভি পি ডা: তন্ময় কান্তি পাঁজা,নার্সিং কলেজ এর প্রিন্সিপাল মানসী জানা, ডা: পারভিন কমার সিং,ডা: ডোনা ব্যানার্জি, ডা: সঞ্জনা হালদার,কমিউনিটি মেডিসিন ডা: আদিত্য দাস, ডা: রুদ্র প্রসাদ আচার্য্য, ডা: সুমন্ত চক্রবর্তী, ডা: দেবদূত হালদার সহ আরো অনেকে। জানা যায় বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ এই বছর বিশ্ব মাতৃ স্তন্যপান সপ্তাহের থিম নির্বাচন করা হয়েছে “বুকের দুধ খাওয়ানো রক্ষা করুন। বুকের দুধ খাওয়ানো এবং বেঁচে থাকা, স্বাস্থ্য এবং নারী কল্যাণ, শিশু এবং জাতিসমূহের সুস্থতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বিশ্ব মাতৃ স্তন্যপান সপ্তাহের এই বছরের লক্ষ্যগুলি হল,মাতৃ স্তন্যপান রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা।একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দায়িত্ব হিসাবে ভিত্তিমূল তৈরীতে বুকের দুধ খাওয়ানো সমর্থন।এবিষয়ে বৃহত্তর সমর্থনের জন্য ব্যক্তিপর্যায় এবং সংস্থার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করুন।জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বুকের দুধ খাওয়ানোর সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে বদ্ধমূলভাবে প্রতিষ্ঠিত করণ।গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদান এ দু’সময়ে কর্মজীবী মহিলাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সময়। গর্ভবতী এবং নার্সিং মায়েদের তাদের বা তাদের শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধ করার জন্য বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন এবং তাদের সন্তান জন্মদানের, সুস্থ হওয়ার এবং তাদের সন্তানদের পরিচর্যার জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন।একই সময়ে, গর্ভাবস্থা বা মাতৃত্বকালীন ছুটির কারণে তাদের চাকরি যাতে ঝুঁকিতে না পড়তে হয় নিশ্চিত করার জন্য তাদের সুরক্ষাও প্রয়োজন। প্রিন্সিপাল ডা: উৎপল দাঁ তিনি জানান মাতৃ স্তন্যপানের গুরুত্ব এবং মা ও শিশুর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এই কর্মসূচি সম্বন্ধে গুরুত্ব প্রত্যেক কমিউনিটি লেভেলে পৌঁছাতে পারি সেই উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি।