অনুষ্ঠিত হলো গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উৎসব

অনুষ্ঠিত হলো গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উৎসব

সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান:- ইচ্ছে ছিল মহাবিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উৎসবকে স্মরণীয় করে তোলা। প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধে প্রকৃতি। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জন্য কুনুর নদীর জল ফুলেফেঁপে ওঠে। বন্যার জল মহাবিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করে এবং সমস্ত পরিকল্পনা মাটি করে দেয়। শেষপর্যন্ত ৯ ই আগস্ট 'সেমিনার হলে' ছোট্ট আকারে পালিত হয় গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উৎসব। জানা যাচ্ছে আগামী ৩ রা অক্টোবর বড় আকারে দিনটি পালন করা হবে। উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রবীন গুপ্ত ও পরিচালন সমিতির সদস্য জীবন চৌধুরী। নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় প্রবীণ রবীন বাবু মেতে ওঠেন স্মৃতিচারণে। তিনি বলেন ১৯৬৫ সালের ৯ ই আগস্ট গুসকরা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিভাবে গুসকরা শহর ও শহরের বাইরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরে এই মহাবিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে ও ধীরে ধীরে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করতে থাকে সবিস্তারে সেটা সবার সামনে তিনি তুলে ধরেন। নট্ট কোম্পানির যাত্রা, চাঁদা তোলা, জমি দান সহ সবকিছু উঠে আসে তার বক্তব্যে। মাঝে মাঝে তিনি নস্টালজিক হয়ে পড়েন। অন্যদিকে জীবন বাবুও বেশ কিছু তথ্য পেশ করেন। এইসব তথ্য বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের কাছে একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। এছাড়া আরও কয়েকজন অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র বক্তব্য পেশ করেন। প্রত্যেকেই মহাবিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন এবং এর মর্যাদা বজায় রাখার জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অনুরোধ করেন। এর আগে একটি ছোট্ট চারাগাছে জল সিঞ্চন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রবীন বাবু, জীবন বাবু, অধ্যক্ষ সুদীপ চ্যাটার্জ্জী, অধ্যাপিকা মৈত্রেয়ী রায় সর, অধ্যাপিকা সুনন্দা মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। এই মহাবিদ্যালয়টি যেমন ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করেছে, সবার আশা একদিন এই চারাগাছটি ঠিক তেমনি বিস্তার লাভ করবে। এটা যেন তারই প্রতীক। মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গীতের অধ্যাপিকা মনামি চোংদারের নেতৃত্বে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। দেবব্রত ও পৌলমীর নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের সভাপতি তথা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়ে বলেন, যে উদ্দেশ্যে তাঁরা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন সেটি পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের। তবে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার কম থাকায় তিনি আক্ষেপ করেন। তারা আশা ৩ রা অক্টোবর সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত থাকবে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )