
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা: আসানসোল:-
শিল্পাঞ্চলের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে হিন্দু বাঁচাও কর্মসূচি। ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। বলা যেতে পারে অভিভাবকহীন বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ জুড়ে ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ লেগে রয়েছে। আর এর জেরে আওয়ামী লীগের কর্মীদের যেমন অত্যাচার হচ্ছে তেমনি অত্যাচার হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় স্থানে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। তার আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। বলা যেতে পারে ওপার বাংলার আঁচ এপার বাংলাতেও আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সেই একই ছবি ফুটে উঠলো আসানসোলের শিল্পাঞ্চলে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় তাদের। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আসানসোল শাখার ডাকে শুক্রবার মিছিলে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ, স্বদেশ বিকাশ কেন্দ্র বনবাসী কল্যাণ মঞ্চ, আরএসএস ও এবিভিপির মতো সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার আর সেই কারণেই এই প্রতিবাদ বলে জানা যায়।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্য প্রভাত মুখার্জী বলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হচ্ছে, ঘরের নারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, এর প্রতিবাদে এদিনের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী বলেন অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ করতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তাপস সিংহ, অমিত সরকার, বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায় সহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরুটা হয়েছিল কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। তাদের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোনো ক্ষেত্রেই ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা যাবেনা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে একাধিক ছাত্র নিহত হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইণ্টারনেট পরিষেবা।
সেইসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর চাপ বাড়তে থাকে। শোনা যায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও নাকি পদত্যাগের জন্য হাসিনার উপর চাপ দিতে থাকে। যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেননা। কিন্তু দেশের সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ পত্র পেশ করে বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপে নিজের দেশ ছাড়েন।
এদিকে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে অন্ধকার। হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অমানবিক জেহাদী অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।হিন্দু জাগরণ মঞ্চ পক্ষ থেকে।মিছিলটি শুরু হয় আসানসোলের গির্জা মোড় থেকে হটন রোড হয়ে আশ্রম মোড় শনিমন্দির পর্যন্ত।
