
ওয়ান সাইডেড
অনিন্দ্য চৌধুরী (কলকাতা)
দূর থেকে দেখি মন ভরে..
তোমরা ভাবছো “অভিমান করে..”..
ওসব কিচ্ছুনা.. আমিও কিচ্ছুনা..
“দূরত্বে টান বাড়ে” বলেন কবি..
বলেন, “ওয়ান সাইডেড শিষ্য ওরে..
তোর কিসের চাওয়া পাওয়া?..
পেয়েছিস তো অনেক.. ভ্যালিডেশন ছাড়া”
কবির দিকে ভ্রুকুঞ্চিত নজরে বিবেক,
ঝাঝিয়ে ওঠে তারস্বরে..:
“সখি ভ্যালিডেশন কারে কয়?
সে কি কেবলই পদে আবদ্ধ?..
সে কি শুধুই সেল্ফিতে রুদ্ধ?..”
ক্রমশ বাড়ে কবি-বিবেকের যুদ্ধ!
শ্বাস-বিরতি পূর্ণ হতেই বিবেক বলে ফের..
“জোড়া ওই ফুলের থেকে তুইও পেলি ঢের..
এই যে মানুষ যত্রতত্র জড়িয়ে ধরে তোকে,
এই যে ভুল করে ফেললে, হাইকমান্ড বকে..
এও কি প্রাপ্তি নয়?
ওরে পাগল.. সব প্রাপ্তি কি হাইলাইট হয়?
ভেবে দেখ তুই,
যদিও মিডিয়া বলেছিল ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’,
তবুও কি তুই ফেল করেছিলি সেইদিনের টেস্ট?
তবুও কি তোকে এক চুলও কেউ ঠেলেছিল দূরে?
লক-আপ চেক-আপ কিছুই কি হারাতে পারলো তোরে?
তবে আজ মঞ্চ দূর থেকে দেখে কিসের অশ্রুজল?
‘যে সয়, সে রয়..’ এই মন্ত্র তুইও জানিস, বল!
মেঘ জমছে, জমতে দে না.. বৃষ্টি আসুক ভীষণ..
বৃষ্টি বড়ই পবিত্র তোর জোড়াফুলের মতন..”
বিবেকের বোলে বাকরুদ্ধ কবি,
আমি বলি এই ফাঁকে..
চাওয়া-পাওয়ার মাঝেও একটা অবুঝ স্পেস থাকে..
“পাইনি” বলার প্রশ্নই নেই, সম্মান আর স্নেহ..
একলা ঘর টা কেমনে বাঁচে, দেখিতে পায়নি কেহ..
চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে গিয়ে আবেগ বড়ই সত্যি
যতই হোক না বিক্ষত মন, মৃত্যুশিতল দেহ..
লাখ মানুষের ভিড়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাণ..
কণ্ঠ ছেড়ে গাইছি শোনো দিদি-অভিষেক দার গান..
আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে, দমকায় মাস্তুল..
আমৃত্যু আমি গর্ব করেই ওয়ান সাইডেড তৃণমূল!