
বারাবণি থানার উদ্যোগে পালিত হলো রাখি বন্ধন উৎসব
অঙ্কিতা চ্যাটার্জ্জী, ফাইনাল এক্সপোজার -: ভাই-বোনের ভালোবাসার প্রতীক হলো রাখি বন্ধন উৎসব। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এই দিন বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনা করে তাদের হাতে রাখি নামে একটি পবিত্র সূতো বেঁধে দেয়। অন্যদিকে বোনদেরও সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় ভাইয়েরা। ধীরে ধীরে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করতে শুরু করে। এই আন্দোলনের মূল আঁতুর ঘর ছিল বাংলা। আন্দোলনকে দুর্বল করার লক্ষ্যে বড়লাট লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনাকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার বাঙালি রাস্তায় নামে। তখন হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একতার প্রতীক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে রাখি বেঁধে ভ্রাতৃত্বের বার্তা প্রচার করেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা রাখি বন্ধন উৎসবকে নতুন মাত্রা এনে দেয়। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে পালিত হতে থাকে এই উৎসব। আসানসোলের বারাবণি থানার উদ্যোগে ১৯ শে আগস্ট পালিত হলো সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক রাখি বন্ধন উৎসব। এদিন থানার মহিলা কনস্টেবল ও সিভিক ভলাণ্টিয়াররা থানায় আগত বিভিন্ন মানুষ, সাংবাদিক এবং পথচলতি মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে এই উৎসব পালন করে। থানার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে এলাকাবাসী। তাদের মতে এরফলে থানা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা শক্তিশালী বন্ধন গড়ে উঠবে। পুলিশ সম্পর্কে নিজেদের অযথা আতঙ্ক কাটিয়ে যেকোনো বিষয়ে তারা থানার শরণাপন্ন হতে পারবে।এরফলে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা অনেক সহজ হবে।