
কেন্দ্র সহযোগীতা না করলে ফারাক্কা ব্যারেজ ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারী জেলা তৃণমুল সভাপতির
তন্ময় মাহারা: মালদা:- কেন্দ্রীয় সরকার কোনো রকম ভাবে সাহায্য করছে না এবার ফারাক্কা ব্যারেজ ঘেরাও এর হুঁশিয়ারি দিল মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী।বন্যা ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মালদা জেলায়।কেন্দ্র রাজ্য একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র সহযোগীতা না করলে ফারাক্কা ব্যারেজ ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারী জেলা তৃণমুল সভাপতির। ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারন মানুষ। আর যাতে মানুষ বন্যা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য তৃণমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা করা হয়। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী জলপথ ও সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন সহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, বিধায়ক চন্দনা সরকার, বিধায়ক সমর মুখার্জি, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, ও দুই পৌরসভার চেয়ারম্যান।এদিন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আমরা প্রতি মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা আলোচনা সভা করি। একদিকে যখন আরজিকর ধর্ষণকাণ্ডে দিদির নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দুই দিনব্যাপী এখানে মিছিল করেছি এবং আমরা এখানে ধরনা দিয়েছি। পুনরায় আমাদের রাজ্য থেকে কোন নির্দেশ আসলে আমরা আবার সেই নির্দেশ অনুযায়ী আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করব। একইভাবে আমাদের গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন হচ্ছে যেটা মালদা জেলার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। একেবারে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে শুরু করে বৈষ্ণবনগর পর্যন্ত মানিকচক কালিয়াচক ২ সর্বোচ্চ প্রচুর ভাঙ্গনের ফলে শয়ে শয়ে বাড়ি জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। স্কুল তলিয়ে যাচ্ছে। মন্দির মসজিদ তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দিশেহারা। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে ভিখারিতে পরিণত হচ্ছে। ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছে একেবারে। এইরকম অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে আজকে রাজ্য কমিটির কাছে আমাদের মতামত পাঠাচ্ছি।। রাজ্য কমিটির অনুমোদন পেলে আমরা ফারাক্কা ব্যারেজ যে অথরিটি কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব জাতীয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা। এখানকার মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়া। যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। এখানে বিজেপি যারা আছে সাংসদ যারা আছে তারা এবং কেন্দ্রীয় সরকার সেটা এড়িয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে এই সমস্ত মানুষকে এখন পর্যন্ত সমস্ত রকমের সহযোগিতা করছেন। ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না। আর এখানকার একজন এমপি আছেন বিজেপির যিনি কিভাবে এমপি হয়েছেন মানুষ ভোট দিয়েছে তা বুঝতে পারছে না। একজন অপদার্থ এমপি যিনি বুঝতে পারছেন না যে বারবার চিঠি যাচ্ছে রাজ্যের কাছে। এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলছেন রাজ্য থেকে কেন্দ্রের কাছে যাচ্ছে। তিনি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এসব কথা বলছেন। যে কোনো রকম চিঠি, এখান থেকে দিচ্ছে না। চিঠি দিলে আমরা কেন্দ্র থেকে টাকা এনে দেব। ওর জানা উচিত কত চিঠি রাজ্য সরকার করেছে আমাদের ইরিগেশন দপ্তর পাঠিয়েছে সেই চিঠি। সেই চিঠির কপিগুলো ফারাক্কার ব্যারেজ অথরিটিকে যেদিন আমরা ঘেরাও করব রাজ্য কমিটির নির্দেশ আসলে। রাজ্যের অনুমোদন পেলেই আমরা ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করবো। ঘেরাও করে আমরা বসে থাকবো যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস আমরা পাচ্ছি না।