
বনধে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী: ফাইনাল এক্সপোজার:- মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি চেয়ে গত ২৭ শে আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ 'ছাত্র সমাজ’ নামে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় মুখে শান্তিপূর্ণ বলা হলেও অশান্তি হবেই। ফলে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবনের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করে। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য ইঁট, পাথর ছুড়লে তারা পাল্টা জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। বিজেপির অভিযোগ এরফলে একাধিক ছাত্র আহত হয় এবং তার প্রতিবাদে তারা ২৮ শে আগস্ট ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দেয়। বনধকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল, বার্ণপুর, কুলটি, সালানপুর সহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বনধকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় জোর করে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা বনধ সফল করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আসানসোল শহরে বনধের তেমন কোন প্রভাব চোখে পড়েনি। বেসরকারি বাস কম চললেও, টোটো, অটো ও অন্য গাড়ি চলাচল করে। অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকলেও রাস্তার পাশে দোকান খোলা ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অফিস-কাছারিতে হাজিরা ছিলো অন্যদিনের মত স্বাভাবিক। অন্যদিকে বনধ ব্যর্থ করতে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে পথে নামে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করে প্রশাসন।