
আয়োজিত হলো পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিজিটাল মিডিয়া সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, পূর্ব বর্ধমান:- সাংবাদিক বলতে সাধারণ মানুষ মূলত প্রিণ্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বোঝেন। এর বাইরেও যে সহস্রাধিক সাংবাদিক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে একেবারে 'গ্রাসরুট লেভেল'-এ বসবাসকারী সাধারণ মানুষের সুখদুঃখের কাহিনী নিয়ত তুলে আনছেন তার খবর কেউ রাখেনা। এদের আর্থিক বা প্রশাসনিক নিরাপত্তা নাই। কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়েই তারা কাজ করে। এরা ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এরকম অসংখ্য ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিক সম্মান ও যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। জেলার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের উদ্যোগে ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় শতাধিক সাংবাদিকদের নিয়ে গড়ে ওঠে 'ডিজিটাল মিডিয়া' সংগঠন। গত ১ লা সেপ্টেম্বর ছিল সংগঠনের চতুর্থ বার্ষিক সাধারণ সভা। বর্ধমানের বাদশাহী রোডের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে ভিন্ন আঙ্গিকে এই সভার আয়োজন করা হয়। আগামী দিনে সংগঠন কীভাবে চলবে, সংগঠনে থাকতে গেলে কী কী নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। গত একবছরে কী কী কাজকর্ম করা হয়েছে সেই তথ্য সদস্যদের অভিহিত করা হয়। সাধারণ সভায় আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ করা হয়। একইসঙ্গে কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে নতুন কিছু সদস্যদের নথিভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বার্ষিক সাধারণ সভা অন্যমাত্রা লাভ করে। অনুষ্ঠানে যেসব সদস্য সংগঠনের জন্য সারা বছর ভাল কাজ করছেন, সংগঠনের দিকে সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি উপদেষ্টা কমিটি ও কোর কমিটির সিনিয়র সাংবাদিকদের আলাদা করে মঞ্চে বসিয়ে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। এর আগে উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাংবাদিক তথা সংগঠনের সদস্য ঝিলিক মুখার্জি, উদিত সিংহ, কানাইলাল বিশ্বাস, বিউটি সান্যাল প্রমুখ। তাদের সঙ্গে অন্যান্যদেরও গলা মেলাতে দ্যাখা যায়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিজিটাল মিডিয়ার সভাপতি আমজাদ আলি সেখ, সম্পাদক পিন্টু প্যাটেল, উপদেষ্টা কমিটি ও কোর কমিটির সদস্য শান্তনু পাঁজা, অসিত রাউত, বুলবুল কোনার, শফিকুল ইসলাম, মুকুল রহমান, কানাইলাল বিশ্বাস, উদিত সিংহ, নীলাদ্রি সরকার সহ সংগঠনের সকল সদস্য। আমজাদ আলি বলেন, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হলে আমাদের প্রত্যেককে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। খবর সংগ্রহ করার সময় কোনো সমস্যা হলে সেগুলি সমষ্টিগতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। একইসুর শোনা যায় পিণ্টু প্যাটেলের মুখে। তার সংযোজন, আমাদের সদস্যরা খবর সংগ্রহ করার সময় যেসব প্রশাসনিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সেগুলি দূর করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা শুরু করেছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই সমস্যা দূর হবে। সবমিলিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রায় শতাধিক সাংবাদিক এক অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করার সুযোগ লাভ করে।