
গ্রামে উন্নয়ন এর কাজ থমকে গেছে এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের
তন্ময় মাহারা: মালদা:- লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে এলাকার বুথ থেকে বেশি ভোটে লিড দেওয়া হয় সেই বুথে তৃণমূলের পরাজয় হয়। আর এতেই হয় বিপত্তি। তারপর থেকেই গ্রামে উন্নয়ন এর কাজ থমকে গেছে এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে বৃষ্টির জল জম এলাকায় জমে রয়েছে। নিকাশের কোন সুব্যবস্থা করা হচ্ছে না। গ্রামে নেই নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এলাকার বাড়ির সব নোংরা জল পাশের ফাঁকা জায়গায় জমে থাকছে আর সেখান থেকেই নোংরা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে মশার উপদ্রব বাড়ছে।। ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকার ঘটনা।এলাকাবাশিরা অভিযোগ করছেন পঞ্চায়েত থেকে ড্রেন করার জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল কিন্তু সেটার কোন কাজ হয়নি।। নিকাশি ব্যবস্থা করা ড্রেন করা কথা বারবার পঞ্চায়েত সদস্যকে বললেও তিনি কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ। উল্টে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামে কোন কাজ করা হবে না বলে গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা প্রতি মেম্বারের একটাই রাগ যে তারা বিজেপিকে সমর্থন করে বিজেপিকে ভোট দেয় আর সেই জন্যই এলাকায় ড্রেনের কাজ হচ্ছে না। যদিও যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল মেম্বার সনেকা মন্ডল ক্যামেরার সামনে জানান তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বিজেপি এইভাবে এলাকার মানুষদের দিয়ে মিথ্যা কথা বলাচ্ছে। এলাকায় ট্রেনের কাজ করা হবে তার জন্য ফান্ডের প্রয়োজন ফান্ট ইতিমধ্যে হাতে এলেই ড্রেনের কাজ এলাকায় হবে। দ্রুত এলাকায় নিকাশী-নালা তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদা বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ জানান তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত যে কথাটা বলেছে তার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক এই কারণেই দলের সর্বোচ্চ নেত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। রাজ্য সরকার থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যন্ত দুর্নীতির আঁকড়া তোলাবাজ সিন্ডিকেট কাঠ মানি তারা আজকে এর উপর যারা নির্ভর তারা আজকে এই তৃণমূল দল করে।। মানুষের নাগরিক পরিষেবা দিতে এরা ব্যর্থ। আবার যদিও তারা নাগরিক পরিষেবা দেয় সে ক্ষেত্রেও তারা প্রতিদান চাই।
আজকে গোটা এলাকাতে বিজেপির ভোটার রয়েছে তাহলে বিজেপি ভোট দেয় বলে এলাকায় কাজ হবেনা। আসলে দলের উচ্চ নেতৃত্ব যেমন তেমনি নিচুস্তরের নেতৃত্বরা। এই ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। এই দল সমাজ বিরোধীদের একটা ফোরাম। এটা যতদিন বাংলাতে থাকবে ততদিন বাংলার মানুষের দুর্ভোগ থাকবে । ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে হবে বাংলার এই অশুভসংস্থা পার হোক।
যদুপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট যে কেউ কাউকে দিতে পারে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তবে নিকাশি বিষয় নিয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি ড্রেনের কাজ খুব শীঘ্রই এলাকায় করা হবে। জল যাতে অন্যত্র ফেলা হয় সে বিষয়েও দেখা হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গা।