
ত্রাণ শিবিরে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করল মানিকচক চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
তন্ময় মাহারা: মালদা:-
মানিকচকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দুর্গত পরিবারদের। বড়দের সাথে ছোট শিশুদেরও আশ্রয় ত্রাণ শিবির, তাই তাদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করল মানিকচক চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার মথুরাপুর বিএসএস হাই স্কুলের শিবিরে প্রায় ১৫ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে চলল পড়াশোনা।খুশি দূর্গত পরিবারের সদস্যরা।মানিকচকের ভুতনির তিনটি অঞ্চল বিগত দুই মাস ধরে জলমগ্ন। গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাড়ির ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করেছে জল তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ভূতনিবাসী। মানিকচকের মথুরাপুরে মোট চারটি ত্রাণ শিবির করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এই ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১০০০ এর বেশি পরিবার বসবাস করছিলেন। বর্তমানে ভুতনির বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে জল নেমেছে এলাকা থেকেও। তাই প্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। তবে মথুরাপুরের বিএসএস হাই স্কুলের শিবিরে এখনো প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস যার মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট শিশুরাও। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা জলমগ্ন থাকার কারণে বন্ধ শিশুদের পড়াশোনা। জানিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন শিশুদের পরিবারের সদস্যরা। ব্লক প্রশাসনের কাছে পড়াশোনার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা।সেই আবেদনে সারা মানিকচক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ পারভেজের। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় মিস্র বলেন,বন্যা দুর্গত শিশুদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আগামী কয়েক দিন ত্রাণ শিবিরের শিক্ষক প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আগামী বুধবার পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হবে তাদের।দক্ষিণ চন্ডিপুরের গৃহবধূ আলিনা খাতুন বলেন, বিগত সাতদিন ধরে এই শিবিরে আছি।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা খুবই ভালো রয়েছে।আমরা শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম তবে এখানে প্রতিদিন পড়াশোনা করানো হচ্ছে না।