ঘূর্ণিঝড় – ধানের দফারফা, বাঁকুড়ার চাষীদের মাথায় হাত

ঘূর্ণিঝড় – ধানের দফারফা, বাঁকুড়ার চাষীদের মাথায় হাত

সৌমি মন্ডল, বাঁকুড়া:- ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' জেলায় ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে না পারলেও তার প্রভাবে গত দু'দিন ধরে বাঁকুড়া জেলার রাইপুর, সারেঙ্গা, রানীবাঁধ সহ বিভিন্ন ব্লকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি থামতেই মাঠে গিয়ে চাষীদের মাথায় হাত। দ্যাখা যাচ্ছে ধান ভর্তি গাছ মাটিতে মিশে গ্যাছে। এই ধান গাছ আর সোজা করে তোলা যাবেনা। ফলে ধানের আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবেনা। আমচুড়া গ্রামের চাষী গুরুপদ ঘোষ, নরহরি মন্ডল, অশ্বিনী মন্ডল, দিব্যেন্দু মন্ডল, শক্তিপদ পাত্র, খোকন ঘোষ এবং বেনাকাটা গ্রামের চাষী বংশী মন্ডল, দিলীপ মন্ডল, অমরেন্দ্র পাত্র, নিমাই মন্ডলরা বিরস কণ্ঠে বললেন - যতটুকু চাষ করেছিলাম তার প্রায় সবটাই ক্ষতি হয়েছে। এবার ধানের ফলন ভাল হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু 'ডানা' এসে সব শেষ করে দিল। কিভাবে ধানের খরচ উঠবে তা নিয়ে ভাবনায় রাতের ঘুম উঠে গেছে। অন্যদিকে শিমলি গ্রামের অসীম চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সংসার চলে ধান চাষের উপর। ধান চাষের আয় থেকেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু এখন কী হবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ধানের ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা এখনোও ব্লকের কৃষি আধিকারিকরা নির্ণয় করতে পারেননি। রাইপুর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা তথাগত নাথ বলেন, এখনো পর্যন্ত পুরো এলাকা পরিদর্শন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ধানের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই । সারেঙ্গা ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা সজল পতি বলেন, আমরা ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। দ্যাখা যাচ্ছে যে সমস্ত ধানগুলো একটু আগে রোপন করা হয়েছে সেগুলো বেশিরভাগটাই পড়ে গেছে। সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শীঘ্রই বলা যাবে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (2 )