
সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে আসানসোল বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপির
কৌশিক মুখার্জী: আসানসোল:-
সন্দেশখালিতে নারীর সম্ভ্রম ভুলন্ঠিত ও নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্যবিজেপির সভাপতি
সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশী হেনস্থা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এদিন বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে আসার পথে প্রথমে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং দ্বিতীয় ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা পুলিশ কমিশনার অফিসের সামনে জিটি রোডের উপর পথ অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। উপস্থিত বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জী, রাজ্য সদস্য দেবতনু ভট্টাচার্য,পবন সিং,দিলিপ দে, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়,
সাধারণ সম্পাদক তাপস রায়,
অনিরুদ্ধ বাজপেয়ী,ভায়েস প্রেসিডেন্ট কেশব পোদ্দার,
যুব সভাপতি বাবন মন্ডল, মহিলা মোর্চার সভাপতি রেখা ভট্টাচার্য সহ বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীসমর্থকেরা।
শেষ পর্যন্ত চারটের পরে জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলকে পুলিশের তরফে পুলিশ কমিশনার অফিসে স্মারক লিপি দেওয়ার অনুমতি দেয়। সেই প্রতিনিধি দল এসপি অফিসে গিয়ে পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর পরিবর্তে ডিসিপি (সদর) ধ্রুব দাসকে স্মারক দেয়।
এদিন বাপ্পা চ্যাটার্জী বলেন, সন্দেশখালিতে কি হয়েছে, আর এখন কি হচ্ছে, তা শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের মানুষেরা দেখছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। অথচ এই রাজ্যে মহিলাদের কোন নিরাপত্তা নেই। দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তার প্রতিবাদ করতে সেখানে গেলেন। কিন্তু পুলিশকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হলো। বাপ্পাবাবু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের তো বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েরা আছেন। তারা কি ভাবছেন? আমাদের আহ্বান, আপনারা তো এবার প্রতিবাদে সরব হন।
আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন সবদিকে উস্কানি দেওয়া আর একদিকে ডেপুটেশন দেওয়া, দুমুখো নীতি চলে না।