জমিদার নাম টা রয়েছে তবে নেই আর জমিদারি,দিন মুজুর করেই পরিবার চালোনা,প্রাচীন ভগ্ন বাড়ি থাকায় মিলছে না আবাস যোজনার বাড়ি

জমিদার নাম টা রয়েছে তবে নেই আর জমিদারি,দিন মুজুর করেই পরিবার চালোনা,প্রাচীন ভগ্ন বাড়ি থাকায় মিলছে না আবাস যোজনার বাড়ি

কৌশিক মুখার্জী: সালানপুর:-

এক সময় জমিদারি ছিলো কিন্তু  বর্তমানে এই জমিদার নামটি শুধু থেকে গেছে। বর্তমানে দি ন মুজুর কাজ করে চলে সংসার।ঘটনা আসানসোলের সালানপুর ব্লকের কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েতর অন্তর্গত কল্যা সুস্বাস্থ কেন্দ্রের সামনে রয়েছে তাঁদের প্রাচীন ভগ্নদশার দোতালা বাড়ি।রায় পরিবার ছিলো তখনকার দিনের এলাকার জমিদার।জানা যায় সেই সময় তাঁদের জমিতে হাসপাতাল, স্কুল, মন্দির গড়ে উঠেছে।বর্তমানে তাঁদের অভিজাত্যের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অট্টালিকা।কিন্তু বর্তমানে এখন সেই অট্টালিকা বাড়ি ভগ্ন অবস্থা।বাড়িটি বিপদ জনক হওয়ার কারণে বসবাস করেনা এখন।পেশায় দিন মুজুরের কাজ করে কোনো ভাবে সংসার চালায় কিন্তু এখন রায় পরিবারের মনোরঞ্জন রায় ও তার স্ত্রি ভাগ্যবতী রায়।তাঁদের সন্তানদের নিয়ে এই কুঁড়েঘর প্লাস্টিক ত্রিপল ছাউনি করে দীন গুজরান করছে।আবাস যোজনাতে নাম নথিভুক্ত করলেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম আসছে না।বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরোনো বাড়ি প্রায় ভগ্নদশা সেই বাড়ি তে থাকাটা বিপদজনক যে কোনো দি ন ভেঙে পড়তে পারে বাড়িটি।পরিবারটি কোনো রকম দিন মুজুর কাজ করে সংসার চালায় তাই তাঁদের পক্ষে সাধ্য নয়  বাড়ি সংস্কার বা মেরামতি করা।এখন তাঁদের আবেদন প্রশাসন যদি আবাস যোজনা তে বাড়ি বানিয়ে দেন তা হলে তাঁদের উপকৃত হবে।স্থানীয় দের বক্তব্য পরিবারের চারজন খুব কষ্টতে বসবাস করছে ঝুপড়ি প্লাস্টিক ত্রিপল ছাউনি দিয়ে বসবাস করেছে।বর্তমানে জমিদার নামটা থেকে গেছে কিন্তু পরিবারটি খুব কষ্টে রয়েছেন দিন মুজুরের কাজ করে দিন গুজরান চলে পরিবারটির।পুরোনো বাড়িটি যা বর্তমানে ভগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।বসবাস করার মতো বাড়ি নয় বিপদ জনক বাড়ি।তাই তারা সেই বাড়ি ছেড়ে ঝুপড়ি প্লাস্টিক ত্রিপল ছাউনি দিয়ে দীন কাটাচ্ছে।স্থানীয়রাদের বক্তব্য যেনো আবাস যোজনার বাড়ি যেনো পায় পরিবারটি।যদিও কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীকান্ত পাতর বলেন পরিবারটি আমরা জানি।সত্যি বিপদ জনক অবস্থায় রয়েছে যে কোনো সময় বিপদ হতে পারে।এছাড়া এলাকায় এমনি আরো এক দুটি বাড়ি একই অবস্থায় রয়েছে।কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দোতালা বাড়ি থাকলে সেখানে নাম আবাস যোজনায় নথিভুক্ত হয়না আমরা নাম তাঁদের পাঠিয়ে ছিলাম।আবারো আবাস যোজনার নাম পাঠাবো।বিষয়টি নিয়ে ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়েছি তাঁরা দেখছে এবং খুব তাড়াতাড়ির মধ্যে একটা কিছু ব্যবস্থা হবে আশ্বাস দিয়েছে আমাদেরকে।বিষয়টি বিডিও কে জানানো হয়েছে বলে বলেন।তবে একদিকে তখন কার দিনের জমিদার থাকা প্রাচীন অট্টালিকা অর্থাৎ দোতালা বাড়িটি শুধু রাস্তার পাশে ভগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বাড়িতে বসবাস করেনা পরিবারটি তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাই এখন ঝুপড়ি প্লাস্টিকের ত্রিপল দেওয়া ছাউনি কুঁড়ে ঘর।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )