
আশাপুর রাস যাত্রা মহামিলন উৎসবে জীবন্ত মানুষ দারা পরিচালিত ভূতের অভিনয়
বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার:– রাজ্যের একাধিক জেলায় রাস উৎসব ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ। সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে রাস উৎসবের জনপ্রিয়তা রয়েছে। রাস উৎসব দেখার জন্য অনেকের মনেই আগ্রহ বেড়েছে ।মেলা হল যখন একটি সামাজিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য কারণে একটি স্থানে অনেক মানুষ একত্রিত হয়। মেলা শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি হয়।মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন,আর সেই মহামিলন উৎসব উপলক্ষ করে ২২ দিন ব্যাপী আশাপুর সার্বজনীন রাস যাত্রা মহামিলন উৎসব ২৫ তম বর্ষ ২৪ শে নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গেছে। এই রাস মেলা তে এখানে বিশেষ আকর্ষণীয় হচ্ছে জীবন্ত মানুষ দারা পরিচালিত গা শিউরে ওঠার মতো শিল্পীদের নিয়ে ভূতের অভিনয়। এই রাস যাত্রা মহামিলন মেলা উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দেবব্রত খাঁড়া ও রামকৃষ্ণ গুড়িয়া জানান, এই মেলায় একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয়। এই মেলায় বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ নিবিড় ।

বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতির সমন্বয় । কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায় বা কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলা। মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ জীবনে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। গ্রামের এই মেলায় যাত্রা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, জারি-সারি, রামায়ণ,গম্ভীরা কীর্তন, পালার আসর,জীবন্ত মানুষ দারা পরিচালিত ভূতের অভিনয় শিল্পীদের এগুলো মুগ্ধ করে আগত দর্শনার্থীদের। পঞ্চায়েত প্রধান ধ্রুবজ্যোতি দলপতি তিনি জানান এই মেলা উপলক্ষে এলাকার সর্বধর্ম মিলিত হয়ে এক মহামিলন উৎসব হয়ে ওঠে। এখনও নাগরদোলা সব বয়সীদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। মেলায় আবার বিভিন্ন নাটক বা যাত্রাপালারও আয়োজন করা হয়। গ্রামীণ মৃৎশিল্প দের হাতের তৈরি জিনিস গুলো,বিভিন্ন ধরনের মাটির পুতুল বেশি জনপ্রিয় ও মেলার আরেক আকর্ষণ করে তোলে। এদিন এই ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা উৎসব এ এলাকার সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
