বারুইপুর রাস মেলা মাঠে চলছে এন কে Rolex সার্কাস

বারুইপুর রাস মেলা মাঠে চলছে এন কে Rolex সার্কাস

বাইজিদ মন্ডল: বারুইপুর:– দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বারুইপুর রাস মাঠে বসেছে এন কে রোলেক্স সার্কাস।১৮৮০, তৎকালীন সময়ে দেশে সর্বপ্রথম সার্কাস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মহারাষ্ট্রের বোম্বে আজাদ ময়দানে।নাম ছিলো ইউরোপিয়ান সার্কাস। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই সার্কাস কে। এরপর প্রচুর নামজাদা সার্কাস কোম্পানী তৈরী হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। একদা বাঘ,সিংহ,হাতি ঘোড়া,কুকুর সহ বিভিন্ন জীবজন্তুর খেলা দেখা যেতো সার্কাসে।বর্তমানে বিভিন্ন আইন প্রনয়নের জন্য সেই জৌলুস হারিয়েছে সার্কাস গুলো।তবে সার্কাসের একেবারেই মরণাপন্ন নয়। আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন নামীদামী সার্কাস। তবে সেখানেও বেশকিছু সরকারী বিধি নিষেধ মেনেই চলতে হয়।এই সার্কাসের উপর বহু পরিবার নির্ভরশীল।এক সময় সার্কাস দেখতে মানুষের ভীড় উপচে পড়তো। এমন কি সিনেমা হলের মতোই টিকিটের কালোবাজারি চলতো রমরমা,আজ যেন অমলিন, হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমান যা পরিস্থিতি বিভিন্ন সার্কাস মালিকরা চিন্তিত আগামী ভবিষ্যত নিয়ে।তাঁদের আবার কেউ কেউ দাবী তুলেছেন রাজ্য কিংবা কেন্দ্র সরকার সার্কাস কে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে। সার্কাস কি? তা আগামী প্রজন্ম জানতেই পারবে না।বর্তমানে সার্কাস কে বাঁচিয়ে রেখে বিভিন্ন জিম্যাস্টিকের উপর ভর করেই মূলত বেঁচে রয়েছে সার্কাস। শীতের শুরুতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর রাস মাঠে বসেছে এন কে রোলেক্স সার্কাস। ও প্রতিদিন তিনটি সো চলছে ১,৪,৭ সময়সূচী। দর্শক উপচে পড়ছে সেখানে। তবে বেশ কিছু বছর ধরে সার্কাস কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে। একে একে বন্ধ হয়েছে বহু নাম করা সার্কাস কোম্পানি। কলাকুশলীরা অনেকে কাজ হারিয়েছেন। সবজী বিক্রি, মাছ বিক্রি, দিনমজুরির কাজ শুরু করে জীবীকা নির্বাহ করছেন। কর্মীদের অনেকে দীর্ঘদিন চর্চার মধ্যে না থাকায়, অনেকে কর্মসূত্রে অন্যত্র জায়গায় চলে যাওয়ায় নতুন করে সার্কাস চালু করা ছিল চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন হতে হয়। বিভিন্ন জন্তু নিয়ে খেলা দেখানোয় এখন নিষেধাজ্ঞা আছে। সে কারণে ব্যালান্সের খেলা, জাগলিং, জিমন্যাস্টিকের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সার্কাস কর্তৃপক্ষ। একঝাঁক আফ্রিকান তরুণের নানা ধরনের মজাদার খেলাও লোক টানছে।তবে সরকার শিল্পীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করুক দাবী অনেকেরই।৪৬ বছর সার্কাসের সাথে জড়িত সার্কাসের ম্যানেজার মোল্লা সাদেক রহমান বলেন,“ধীরে ধীরে সার্কাস ব্যাপারটা অবলুপ্তির পথে পা বাড়িয়েছে। আগামীতে ইতিহাসের পাতায় স্থান হবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম হয় তো জানতেই পারবে না, সার্কাস কি জিনিস। তারা বিশ্বাসই করে না, এক সময়ে হাতি, সিংহ, বাঘ সার্কাস এ খেলা দেখাতো।আজ জিম্যাস্টিকের উপর ভর করেই চলছে।বর্তমানে ২৩ রকম জিম্যাস্টিকের খেলা রয়েছে আমাদের কাছে। এই শিল্পের ভবিষ্যৎ খুবই করুণ। সরকার উদ্যোগ নিলেই সার্কাস কে ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে হবে না।তিনি আরো বলেন বর্তমানে বারুইপুরের রাস মাঠে সার্কাস চলছে। আগামী ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থাৎ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলেই এসে সার্কাস দেখে জানতে পারবে,সার্কাস কি।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )