জেগে উঠুক বিবেক
মহুয়া বিশ্বাস (বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগণা)

মুখ আর মুখোশের আড়ালে ওষ্ঠাগত প্রাণ….
মানুষে মানুষে হিংসার দাবানল….
পুড়িয়েছে সবুজ বৃক্ষ প্রান্তর;
মনুষত্বহীন মানুষের দুর্গন্ধতায় পবিত্র বাতাস দূষিত কলুষিত…
বিষে বিষে বিষাক্ত মনুষ্যঅন্তর!
প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধ রূপ কর্দমাক্ত পরিচর্চার অভাবে
অজ্ঞতার বিভীষিকাময় ভয়ঙ্কর রূপ জ্বালাচ্ছে প্রাণ…
পোড়াচ্ছে সম্মান ;
অগ্নিগর্ভ থেকে উৎপত্তি হচ্ছে জ্বলন্ত শিশুর
ভবিষ্যৎ পোড়ানোর হাতিয়ার!
হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করার পৈশাচিক নেশা
মানুষের শরীরের এক আদিমতম ব্যাধী!
হিংসাচক্ষুর অন্তরালে ধ্বনিত হচ্ছে দুর্বলের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ছিঁড়ে খাওয়ার…
পাশবিক ক্ষুধার্ত রক্তচক্ষু…
উদ্ভ্রান্ত মন উচাটন স্বভাব দিকভ্রান্ত পথিকের সমান ;
অপদস্ত অসম্মান মস্তিষ্কের শিরা- উপশিরাকে ক্ষত-বিক্ষত করে…
তীব্র ঝাঁঝালো শব্দবাণ সুতীক্ষ্ণ রক্তসঞ্চালনের প্রখরতা বাড়ায়….
নিয়ন্ত্রনের শুভচেতনা প্রতিনিয়ত ধাক্কা খায় বিরাট কায়া নিয়ে অধিষ্ঠিত পাহাড়ের গায়;
পুঞ্জিভূত শক্তি আঘাত হানুক নিপীড়কদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে…
আঘাত হানুক আত্মশ্লাঘাতে….
আঘাত হানুক পচা-খসা মনস্তত্বের উপর
পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসুক কালো মানুষটি;
ভেঙে টুকরো টুকরো করুক আভিজাত্য-আমিত্ব….
খিটখিটে প্রশ্নের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসুক মন,
মুক্ত হোক মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার অগ্নিদহন…
স্বস্তি পাক হৃদয়-কানন।